গঙ্গাসাগর, 11 মে : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ণ মন্ত্রিসভায় এই প্রথম জায়গা পেলেন সাগরদ্বীপের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা । তাঁর কাঁধে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ তাই মন্ত্রী হিসাবে কাজ শুরুর আগে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দিরে নারকেল ফাটিয়ে পুজো দিলেন বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা । তাঁর পুজো দেওয়ার সময় মন্দির চত্বরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল ৷
মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দিরে দেশ-বিদেশ থেকে বহু পুণ্যার্থীরা পুণ্য অর্জনের জন্য আসেন ৷ গঙ্গাসাগরকে ভারতের মানচিত্রে এক অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সাগর বকখালি ব্লক ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান করেছিলেন । গত দশ বছর সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি এবং সাগর, মন্দিরসহ এলাকার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাগর তথা সুন্দরবনের মানুষের কথা ভেবে আমাকে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন ৷ আমি আগামী পাঁচ বছর এই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব ।"
আরও পড়ুন, একাধিক রদবদল, নতুন-পুরানোর মিশেল ; মমতার মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীদের হালহকিকত
তিনি আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছরে দুই থেকে তিনবার এই সাগর বেলাভূমিতে আসেন ৷ কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেন তিনি । একসময় কপিলমুনির মন্দির ও সাগর যে অবস্থা ছিল তার থেকে অনেক উন্নত হয়েছে ৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান কাজ ছিল গঙ্গাসাগর মেলাকে বিশ্বের মানচিত্রে এক অন্যতম স্থানে পৌঁছে দেওয়া । গত 10 বছর সেই কাজে আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি ৷’’