কলকাতা, ১২ মার্চ : বাংলোর ঘরের প্রায় সব জানালা-দরজাই বন্ধ। বাইরে বের হওয়া তো দূরের কথা হোটেলের জানালার কাছেও আসছেন না কেউই। বাইরে পাহারায় তিন সিভিক ভলান্টিয়ার ও একজন ASI। আর সেখান থেকে কয়েক হাত দূরেই রয়েছে জনা কয়েক দুষ্কৃতী। সেখান থেকে বাংলোর দিকে নজর রাখছে তারা। কার্যত এভাবেই সকাল হওয়ার অপেক্ষায় রায়চকে রয়েছেন বৈশাখি ব্যানার্জিরা।
মা, মেয়ে ও শোভন চ্যাটার্জির সঙ্গে রবিবার রাতে রায়চকে বেড়াতে যান বৈশাখি ব্যানার্জি। সেখানে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হুমকির মুখে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ, ওইদিন রাতেই তাঁদের বাংলো ঘিরে রাখে কয়েকজন দুষ্কৃতী। এমন কী গতকাল সকাল থেকে যাঁরাই তাঁদের বাংলোতে যাচ্ছিলেন তাঁদের ছবিও তুলে রাখছিল তারা। সেই তথ্য আবার ফোনে কাউকে দিচ্ছিল। এছাড়া বৈশাখিকে গালিগালাজও করা হয়। ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
বিষয়টি রামনগর পুলিশকে জানান তাঁরা। অভিযোগ, কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এদিকে গতকাল সন্ধে থেকে ফের তাঁদের বাংলো ঘিরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। BDO-কে জানানো হলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ।
এরপর গতকাল রাতের দিকে বৈশাখির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "আমরা কেউ বাইরে বের হতে পারছি না। রাতের অন্ধকারে বাড়ি যাওয়ার সাহস পেলাম না। মা ও মেয়ের জীবন নিয়ে কী ভাবে ঝুঁকি নেব ? আসলে দুষ্কৃতীরা তো এখান থেকে সরেনি। তাই রাতটা এখানেই কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।দুপুরের দিকে এখান থেকে বেরিয়ে যাব।"
পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, "আমরা এখান থেকে বের হব কী ভাবে ? পুলিশ তো আমাদের আশ্বস্ত করতে পারছে না। তারা বলছে কাঁচ তুলে দিয়ে ওদের হুমকি ও গালাগাল সহ্য করে এখান থেকে চলে যান। আর তারা যে আমাদের উপর হামলা চালাবে না তার কোনও ভরসা নেই। আর পুলিশ আছে বলতে তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও একজন ASI। রাত্রে পেট্রলিংয়ের কোনও ব্যবস্থা নেই।"
যদিও শোভন চ্যাটার্জির নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "ওনার নিরাপত্তারক্ষীরাই নিজেদের জীবন বাজি রেখে রবিবার রাত থেকে আমাদের রক্ষা করছে। তাঁরা না থাকলে তো আজ অন্য খবর পেতেন।"