ঢোলাহাট, 27 নভেম্বর : দুটি মিনি রকেট লঞ্চারসহ অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল ঢোলাহাটে ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতরাতে ঢোলাহাটের আমিরপুর গ্রামে অভিযান চালায় ঢোলাহাট থানার পুলিশ ৷ ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পায় পুলিশ । তল্লাশি অভিযানে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ একইসঙ্গে এলাকা থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা তৈরির মশলা এবং অস্ত্র তৈরির নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে ৷ ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হয়।
দিনকয়েক আগে ঢোলাহাট থানার আমিরপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । সংঘর্ষে বোমাবাজি হয় দু'পক্ষের মধ্যে । ঘটনার তদন্তে নামে ঢোলাহাট থানার পুলিশ । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই গ্রামেরই কোনও এক বাড়িতে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে । সেখান থেকেই সংঘর্ষে ব্যবহৃত বোমাগুলি কেনা হয়েছিল । ওই অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকেই দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা এবং জেলার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও গুলি সরবরাহ করা হত । এই অস্ত্র কারখানার হদিশ পেতেই গতরাতে ঢোলাহাট থানার পুলিশ এবং সুন্দরবন জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল যৌথভাবে তল্লাশি চালায় । গোপনসূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামের বাসিন্দা জাহির মীরের বাড়ি ঘিরে ফেলে । সেই বাড়িতেই অভিযান চালিয়ে বিশাল অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পায় পুলিশ । পুলিশি অভিযানে ধরে ফেলা হয় দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে ।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেছেন, "ঢোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, মন্দিরবাজারের DSP এবং জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এক বিশেষ দল এদিন অভিযান চালায় ওই বাড়িটিতে । বাড়িটি থেকে তিনটি বড় রাইফেল, একটি ছোটো রিভলবার, দুটি মিনি রকেট লঞ্চার, বহু তাজা বোমা ও বোমা তৈরির মশলা, গান পাউডার, ছ'প্যাকেট বোমায় ব্যবহারের জন্য লোহার বল, ওয়েল্ডিং মেশিন এবং আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে । বাড়ির মালিক জাহির মির এবং মথুরাপুর থানার হরিণবাটির বাসিন্দা এরাদ আলি লস্কর নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । অভিযুক্ত দু'জনকেই আজ কাকদ্বীপ ACJM আদালতে তোলা হয় ৷ আদালতে তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।"