সাতগাছিয়া, 17 মে : আবারও কাঠগড়ায় অ্যাম্বুলেন্স চালক । বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে দেহ ফেলে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠল চালকের বিরুদ্ধে ৷ টানা 5 ঘণ্টা ওই ভাবে পড়ে ছিল মৃতদেহ । ঘটনাটি দক্ষিণ 24 পরগনার সাতগাছিয়া বিধানসভা নোদাখালি থানার অন্তর্গত চকমানিক গ্রামের । জানা গেছে, চকমানিক গ্রামে মায়ের সঙ্গে থাকতেন ছেলে অভিজিৎ রায় । তিনি হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন, চিকিৎসা চলছিল ৷
আরো পড়ুন : নারদকাণ্ডে গ্রেফতার ফিরহাদ-সুব্রত-মদন-শোভন
16 মে, রবিবার বেলা 3:10 নাগাদ বুকের যন্ত্রণা শুরু হয় অভিজিতের ৷ তখন মা ফোন করে অ্য়াম্বুলেন্স জোগাড় করেন ৷ তাতে অভিজিতকে বজবজের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ হাসাপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন । এরপর অ্যাম্বুলেন্স চালক নানা অজুহাত দেখায় ৷ জানায় যে এর পর অনেক ভাড়া আছে ৷ তাই মৃতদেহ বাড়ির কাছে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যায় । 5 ঘণ্টা ধরে দেহ বাড়ির কাছে রাস্তার উপরে পড়ে থাকলেও করোনা রোগী সন্দেহে চারপাশের কেউ এগিয়ে আসেনি ৷ খবর যায় বজবজ 2 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৷ বেশ কয়েক জনকে নিয়ে তিনি নিজে পৌঁছান ঘটনাস্থলে ৷ নিজে পিপিই কিট পরে শববাহী গাড়ি আনিয়ে অভিজিত রায়ের মৃতদেহ তুলে বজবজ কালীবাড়ি চিত্র গঞ্জে নিয়ে যান তিনি ৷ ওই দিন রাত 12টা নাগাদ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন ।
এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, এই অসাধু অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।