কাকদ্বীপ, 12 এপ্রিল : মঙ্গলবার সকাল থেকে থমথমে নামখানা ৷ শনিবার ভোরে এক গৃহবধূর উপর ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে । স্বামীর অভিযোগে অভিযুক্ত অমল খাটুয়া এবং কার্ত্তিক মাইতি নামে 2 জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে নামখানা থানার পুলিশ । কিন্তু অভিযোগ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও ৪ জন এখনও বেপাত্তা (Accused of Namkhana gang rape in police custody for two days) ।
ঘটনায় অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার । জানা যায়, পরিবার আগে কংগ্রেস করত । তারপর তৃণমূল । পরে অত্যাচারের কারণে বিজেপিতে যোগ দেন । তবে ঘটনার পর গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, কড়াভাবে চলছে নজরদারি । তবুও চারদিনের মাথায় আজও থমথমে দগোটা এলাকা ।
ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির কথা বারবার উঠে আসছে । ধৃতদের কাকদ্বীপ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে তোলা হয় ৷ অভিযুক্তদের 2 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে (Namkhana gang rape) ।
আরও পড়ুন : Mahua Moitra on Hanskhali Rape : নাবালিকার সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক আইনের চোখে ধর্ষণই, ভিন্ন সুর মহুয়ার
অন্যদিকে পরিবার সূত্রে খবর, নির্যাতিতা মহিলার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল । আজ কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নির্যাতিতাকে দেখতে আসেন বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি তনুজা চক্রবর্তী । ছিলেন মথুরাপুর বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য ।
নামখানা নির্যাতিতা মহিলার পাশে সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা শান্তি কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় । আজ বিকেলে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নামখানা নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করেন তিনি । কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের মহিলা সংগঠনের নেতৃত্ব ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোররাতে বাড়ির পাশে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য বেরোন নির্যাতিত মহিলা । অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন এসে ওই মহিলার মুখ চেপে ধরে তাঁকে বাড়ির দোতলায় তুলে নিয়ে যায় ৷ এরপর হাত ও মুখ বেঁধে অভিযুক্তরা মহিলাকে ধর্ষণ করে । এদের মধ্যে দু'জনকে চিনে ফেলেন ওই মহিলা ।এরপর গণধর্ষণের প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়িতে থাকা কেরোসিন নিয়ে মহিলার গায়ে ও গোপনাঙ্গে ছিটিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা । নির্যাতিতার চিৎকারে প্রতিবেশী এক আত্মীয় তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে আসেন । তখনই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা ।
আরও পড়ুন : Gang Rape in Bolpur : বোলপুর গণধর্ষণ-কাণ্ডে বাবা-সহ ধৃত 4 জনের 10 দিনের পুলিশি হেফাজত