ETV Bharat / state

Maheshtala Murder: সিসিটিভি ফুটেজই ধরিয়ে দিল অভিযুক্তকে, মহেশতলায় ঠাকুমা-নাতি খুনের ঘটনায় কিনারা পুলিশের - ঠাকুমা নাতি খুনের ঘটনার কিনারা

দক্ষিণ 24 পরগনার মহেশতলার জিনজিরা বাজার এলাকায় ঠাকুমা-নাতি খুনের ঘটনার কিনারা করতে সক্ষম পুলিশ ৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে গ্রেফতার ঠাকুরপুকুর থেকে ৷

Maheshtala Murder
মহেশতলা জোড়া খুনের কিনারা
author img

By

Published : May 15, 2023, 9:06 PM IST

মহেশতলা জোড়া খুনের কিনারা

মহেশতলা, 15 মে: মহেশতলা জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশের সাফল্য ৷ সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল মহেশতলা থানার পুলিশ ৷ সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এদিন অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা জানানো হয় মহেশতলা থানার তরফে ৷ ধৃতের নাম ইসব শেখ ওরফে ইউসুফ ৷ তিনি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ৷ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠাকুরপুকুর এলাকা থেকে ৷

গত 12 মে বাড়ির মধ্যে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঠাকুমা ও নাতির দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল দক্ষিণ 24 পরগনার মহেশতলার জিনজিরা বাজার এলাকায় ৷ খুন নাকি অন্যকিছু, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছিল মহেশতলা থানার পুলিশ ৷ অবশেষে গ্রেফতার অভিযুক্ত ৷ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই দুদিনের মধ্যে খুনের কিনারা করতে সক্ষম হল পুলিশ ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহশিক্ষকের বয়ান অনুযায়ী ওইদিন দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত আশেপাশের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছিল তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি ছাতা মাথায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করছে, আবার খানিক বাদেই সে বেরিয়েও যাচ্ছে। কিন্তু পরিবারের কেউই ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে পারেননি। তাই ওই ব্যক্তি কখন কীভাবে এবং কোনদিক দিয়ে এই বাড়ির দিকে এসেছে সেটা বোঝার জন্য রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়েই ধরা পড়ে অভিযুক্ত ৷

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মণ্ডল পরিবারের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে সাইকেল রেখে পায়ে হেঁটে বাড়িতে ঢোকে এবং ফেরার সময় হাফপ্যান্ট পরে বেরোয়। তাতেই পুলিশের সন্দেহ বেড়ে যাওয়ায় ওই ব্যক্তির ছবি বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে বিশদে খোঁজ নিতে থাকে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ইসব শেখ ওরফে ইউসুফ। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও কালিতলা থানা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকে সে। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠাকুরপুকুর এলাকা থেকে।

আরও পড়ুন: ঠাকুমা ও নাতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য মহেশতলায়

পুলিশি জেরায় ইউসুফ জানায়, মণ্ডল পরিবারের বাড়ি তৈরির সময় সে এখানেই কাজ করছিল এবং তাতে তাঁর মনে হয়েছিল, এই পরিবার বেশ বড়লোক ৷ এদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এবং গয়না পাওয়া যাবে ৷ সেই লোভেই মূলত এই খুন বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী মহেশতলা থানায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে খুনের কিনারার কথা জানিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "অভিযুক্তকে জেরা করে জানা গিয়েছে, সে খুব গরিব ৷ বাড়ি ভাড়া দেওয়ার মতো টাকা ছিল না ৷ মূলত, টাকার জন্যই খুন করেছে সে ৷" ঘটনায় অভিযুক্তকে আলিপুর আদালত 27মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷

মহেশতলা জোড়া খুনের কিনারা

মহেশতলা, 15 মে: মহেশতলা জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশের সাফল্য ৷ সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল মহেশতলা থানার পুলিশ ৷ সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এদিন অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কথা জানানো হয় মহেশতলা থানার তরফে ৷ ধৃতের নাম ইসব শেখ ওরফে ইউসুফ ৷ তিনি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ৷ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠাকুরপুকুর এলাকা থেকে ৷

গত 12 মে বাড়ির মধ্যে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঠাকুমা ও নাতির দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল দক্ষিণ 24 পরগনার মহেশতলার জিনজিরা বাজার এলাকায় ৷ খুন নাকি অন্যকিছু, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছিল মহেশতলা থানার পুলিশ ৷ অবশেষে গ্রেফতার অভিযুক্ত ৷ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই দুদিনের মধ্যে খুনের কিনারা করতে সক্ষম হল পুলিশ ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহশিক্ষকের বয়ান অনুযায়ী ওইদিন দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত আশেপাশের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছিল তদন্তকারী আধিকারিকরা। ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি ছাতা মাথায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করছে, আবার খানিক বাদেই সে বেরিয়েও যাচ্ছে। কিন্তু পরিবারের কেউই ওই ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে পারেননি। তাই ওই ব্যক্তি কখন কীভাবে এবং কোনদিক দিয়ে এই বাড়ির দিকে এসেছে সেটা বোঝার জন্য রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়েই ধরা পড়ে অভিযুক্ত ৷

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি মণ্ডল পরিবারের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে সাইকেল রেখে পায়ে হেঁটে বাড়িতে ঢোকে এবং ফেরার সময় হাফপ্যান্ট পরে বেরোয়। তাতেই পুলিশের সন্দেহ বেড়ে যাওয়ায় ওই ব্যক্তির ছবি বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে বিশদে খোঁজ নিতে থাকে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ইসব শেখ ওরফে ইউসুফ। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও কালিতলা থানা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকে সে। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠাকুরপুকুর এলাকা থেকে।

আরও পড়ুন: ঠাকুমা ও নাতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য মহেশতলায়

পুলিশি জেরায় ইউসুফ জানায়, মণ্ডল পরিবারের বাড়ি তৈরির সময় সে এখানেই কাজ করছিল এবং তাতে তাঁর মনে হয়েছিল, এই পরিবার বেশ বড়লোক ৷ এদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা এবং গয়না পাওয়া যাবে ৷ সেই লোভেই মূলত এই খুন বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী মহেশতলা থানায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে খুনের কিনারার কথা জানিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, "অভিযুক্তকে জেরা করে জানা গিয়েছে, সে খুব গরিব ৷ বাড়ি ভাড়া দেওয়ার মতো টাকা ছিল না ৷ মূলত, টাকার জন্যই খুন করেছে সে ৷" ঘটনায় অভিযুক্তকে আলিপুর আদালত 27মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.