কাকদ্বীপ, 19 জুলাই : বাঙালির অন্যতম প্রিয় মাছ ইলিশ ৷ তবে এবারের বর্ষায় সেভাবে বাজারে দেখা যায়নি ৷ এই কয়েক মাসের খরা কাটিয়ে অবশেষে দক্ষিণ 24 পরগনার মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল ইলিশ । রবিবার গভীর রাতে সমুদ্র থেকে বিপুল পরিমাণ ইলিশ নিয়ে নামখানায় পৌঁছান মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিনদিন ধরে প্রায় ছয় হাজার কেজি ইলিশ পাওয়া গিয়েছে । পূবালি বাতাস এবং ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে, এই দুইয়ের কেরামতিতেই দক্ষিণ 24 পরগনার মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়েছে বিপুল ইলিশ ।
বর্ষার সময় এই ইলিশ সুস্বাদু হবে বলেই মত মৎস্যজীবীদের । ইতিমধ্যেই সেই ইলিশ পৌঁছে গিয়েছে নামখানা ঘাটে । এরপর সেই ইলিশ পৌঁছে যাবে ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজার মাছের আড়তে । সেখানে নিলামের পর সমুদ্রের রূপোলি ফসল পৌঁছে যাবে রাজ্যের বাজারগুলিতে । যে ইলিশ সমুদ্র থেকে এসেছে তার ওজন 500 গ্রাম থেকে এক কেজি । মরসুমের প্রথম ইলিশ হওয়ায় দাম একটু চড়া রয়েছে । রবিবার পাইকারি বাজারে 400 থেকে 500 গ্রাম ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে 600 থেকে 850 টাকায় । এছাড়া 600 থেকে 700 গ্রাম পর্যন্ত ইলিশের দাম কেজি প্রতি প্রায় 950 টাকা । 800 গ্রাম থেকে এক কেজি ওজন ইলিশের দাম ছিল কেজি প্রতি এক হাজার 300 টাকা ।
আরও পড়ুন : দিঘার পর বকখালিতেও উপচে পড়া ভিড়, উধাও স্বাস্থ্যবিধি
কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগর এবং রায়দিঘির প্রায় তিনহাজার ট্রলার মূলত গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরে । সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে নামলেও, একের পর এক কোটাল এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠে । ফলে গত তিনবার ইলিশ না পেয়ে কিছুটা ব্যর্থ হয়েই ফিরতে হয়েছে অধিকাংশ ট্রলারকে ৷ তবে এবার উলটপুরাণ । কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, " পর পর কোটাল এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছিল । তার জেরে উত্তাল ঢেউয়ে জাল ফেলার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল । পর পর তিনটি ট্রলারে দুর্ঘটনা ঘটে । গভীর সমুদ্র থেকে আজ সকালে 15টি ট্রলার ইলিশ নিয়ে নামখানা ঘাটে ঢুকেছে । প্রতিটিতেই প্রায় 400 কেজি করে ইলিশ আছে । আশা করছি, এবার ভাল ইলিশ মিলবে । "