ডায়মন্ড হারবার, 11 জানুয়ারি : বিহারের মতিহারি জেলার পূর্ব চম্পারণ থেকে সুন্দরবন ও ডায়মন্ড হারবার এলাকার এক নাবালিকা সহ 6 যুবতিকে উদ্ধার করল ডায়মন্ড হারবার মহিলা থানার পুলিশ। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে তাঁদের একটি তালা বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।
ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ডায়মন্ড হারবারের রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকার সঙ্গে মাস চারেক আগে এক মহিলার আলাপ হয়। নাচ করতে ভালো বাসে ওই নাবালিকা। তাকে নাম করা নাচের দলে কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেয় মহিলা। ওই মহিলার কথামতো এলাকার আরও দুই যুবতিকে সঙ্গে নিয়ে বিহারে যায় ওই নাবালিকা। তাদের তিন জনকে বিহারের মতিহারি জেলার চ্যানপুরের এক গোপন আস্তানায় আটকে রাখা হয়। তাদের দিয়ে জোর করে অশ্লীলভাবে নাচানো হত। দিনের পর দিন এভাবেই চলত অত্যাচার।”
পুলিশ জানিয়েছে, ফোন কেড়ে নেওয়ায় নিজের অবস্থার কথা বাড়িতে জানাতে পারছিল না নাবালিকা। নাচের দলের এক মহিলার কাছ থেকে ফোন হাতে পায় সে। দেরি না করে বাড়িতে ফোন করে নিজের অবস্থার কথা খুলে জানায় সে।
এরপরেই নাবালিকার বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হন। মোবাইলে আসা ফোন নম্বরের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে মতিহারি জেলার কেন্দুয়া থানার চ্যাইনপুরে রয়েছে নাবালিকা। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ডায়মন্ড হারবার মহিলা থানার ওসি অমৃতা পাখিরা দাসের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠিত হয়।
তদন্তকারী অফিসার বাদল বসুর নেতৃত্বে দলটি বিহারে পৌঁছায়। স্থানীয় থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার যৌথভাবে চ্যাইনপুরে অভিযান চালানো হয়। খবর পেয়েই আগেভাগে পালিয়ে যায় নাচের দলের পান্ডারা। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একটি গোপন ঘর থেকে ওই নাবালিকা সহ 6 যুবতিকে উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার সকালে 6 জনকে ডায়মন্ড হারবারে ফিরিয়ে নিয়ে আসে পুলিশ। আজ দুপুরে তাঁরা আদালতে গোপন জবানবন্দী দেন।