কাকদ্বীপ, 2 জুলাই: করমণ্ডল বিপর্যয়ের এক মাস অতিক্রান্ত ৷ এতদিন পরে বালাসোরে দুর্ঘটনায় মৃত রাজ্যের 2 বাসিন্দার দেহ পৌঁছল গ্রামে ৷ ঘটনা দক্ষিণ 24 পরগনার কাকদ্বীপের ৷ আজ কাকদ্বীপ থানার মর্গে দেহ পৌঁছেছে ৷ সোমবার পুলিশ প্রয়োজনীয় কাজকর্ম মিটিয়ে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেবে ৷ মৃতদের পরিচয় আব্দুল মাজিক শেখ, বয়স 45 বছর এবং গিয়াসউদ্দিন শেখ, বয়স 32 বছর ৷
প্রায় 1 মাস আগে 2 জুন ওড়িশার বালাসোরে শালিমার থেকে ছাড়া করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ৷ যে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 294 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন কাকদ্বীপের 64 নম্বর এলাকার দুই বাসিন্দা আব্দুল মাজিক শেখ এবং গিয়াসউদ্দিন শেখ ৷ রবিবার একমাস পর তাঁদের দেহ ফিরল গ্রামে ৷ মৃতদের এক পরিজন জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় দেহের এমনই অবস্থা হয়েছিল যে চোখে দেখে তা চিহ্নিত করা যায়নি ৷ তাই ভুবনেশ্বরের যে হাসপাতালের মর্গে দেহ রাখা ছিল, সেখানে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়েছিল ৷
সম্প্রতি সেই ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে ৷ সেখানে আব্দুল মাজিক শেখ এবং গিয়াসউদ্দিন শেখের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচ করা হয়েছে ৷ রিপোর্ট আসার পর জেলাশাসকের দফতর থেকে দেহগুলিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, শুধু এই দু’জন নয় ৷ আব্দুল মাজিক শেখ এবং গিয়াসউদ্দিন শেখের সঙ্গে আরও 9 জন করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভিনরাজ্যে যাচ্ছিল কাজের জন্য ৷ সেই দুর্ঘটনায় 11 জনই নিখোঁজ হয়ে যান ৷ তাঁদের মধ্যে 5 জনের দেহ আগেই পাওয়া গিয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: 'যে করেই হোক, বাবার কাছে ফিরতেই হবে', দুর্ঘটনার পর এই ভাবনাই সাহস জুগিয়েছে নবশ্রীকে
নিখোঁজ ছিলেন আরও 6 জন ৷ তাঁদের মধ্যে আব্দুল মাজিক শেখ এবং গিয়াসউদ্দিন শেখের দেহ অবশেষে গ্রামে ফিরেছে ৷ কিন্তু, বাকি 4 জনের কোনও খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি ৷ এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসকের দফতরের তরফে বাকিদেরও খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ৷ তবে, আব্দুল মাজিক শেখ এবং গিয়াসউদ্দিন শেখ দুই পরিবারের একমাত্র রোজগার করা ব্যক্তি ছিলেন ৷ তাঁদের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া পরিবারে ৷