বজবজ, 13 অগস্ট: বজবজে জোড়া খুন কাণ্ডে এফআইআরে নাম ছিল 9 জনের ৷ তাদের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা অসীম বৈদ্য-সহ 3 জনকে। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের এসপি রাহুল গোস্বামী জানিয়েছেন, ডিএসপি ইন্ডাস্ট্রিয়াল নিরুপম ঘোষের নেতৃত্বে একটি সিট গঠন করা হয়েছে। যারা পুরো বিষয়টি তদন্ত করবে।
যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন। এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে বজবজ পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহাদেব পুরকাইত এবং তাঁর সঙ্গী গণেশ নস্কর বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায়। দু'জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে গলার নলি কেটে তাঁকে খুন করা হয় বলেও অভিযোগ। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যান। স্থানীয়রাই বজবজ থানার পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় মহাদেবের পরিবারের লোকজন রাতেই বজবজ থানায় বিক্ষোভ দেখান।
আরও পড়ুন: বজবজ বিস্ফোরণ-কাণ্ডে পুলিশের বাজেয়াপ্ত বারুদে আগুন, ঘটনার তদন্তে সিআইডি
পরিবারের অভিযোগ, একসময় মহাদেবের সঙ্গে জমির দালালি করতেন বজবজ পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল বুথ সভাপতি অসীম বৈদ্য। পরে দালালি ছেড়ে মাছ-মাংস বিক্রি শুরু করেন মহাদেব পুরকাইত। অভিযোগ, তৃণমূল নেতার সঙ্গে মহাদেবের কোনও ব্যবসায়িক বিবাদ ছিল। তার জেরে তৃণমূল নেতা প্রায়ই হুমকি দিতেন। মাধব পুরকাইতের এক আত্মীয় বলেন, "অসীমের সঙ্গে মাধবের ভাইয়ের মতো সম্পর্ক ছিল। অসীম বেআইনি কারবারে লিপ্ত ছিল । সেই কারবার থেকে মাধব সরে এসেছিল বলেই যত রাগ।" এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, গ্রামে কোনও আলো নেই বললেই চলে। কোনও বিপদ ঘটে গেলে হাসপাতালে যাওয়ারও সুযোগ থাকে না। যদিও, আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা হয় এলাকাবাসীর উদ্যোগেই । তবে বারবার ঝড়ে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন: রাজ্যে এখন বাজি-বন্দুকের শিল্প, এগরা-বজবজ নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ দিলীপের