কোচবিহার, 6 ফেব্রুয়ারি: জঙ্গল থেকে বের হয়ে ফের লোকালয়ে বাইসন । ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙার ঘোকসাডাঙা এলাকায় ৷ বাইসনের আতঙ্কে ঘুম উড়ছে বাসিন্দাদের। রবিবার বিকেলে দু'টি বাইসন চলে আসে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা 2 নং ব্লকের ঘোকসাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের খোপাডুলি, শালমারা ডাবরী এলাকায় (Two Bisons Attack at Mathabhang)। গ্রামে চলে আসার পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। বাইসন দুটি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় থেকে তাণ্ডব শুরু করে দেয়। বাইসনের ছোটাছুটি চলে রাত পর্যন্ত ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বনদফতরের পুণ্ডিবাড়ি রেঞ্জ ও মাথাভাঙা রেঞ্জের কর্মীরা । ঘটনাস্থলে আসে ঘোকসাডাঙ্গার পুলিশও। বনদফতরের তরফে ঘন কুয়াশায় বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বাইসন দু'টিকে ট্রাঙ্কুলাইজ করে জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব হয়নি । বনদফতরের কর্মীরা জানান, বর্তমানে বাইসন দু'টি ঘোকসাডাঙা কলেজ সংলগ্ন বড়শিমূলগুড়ি এলাকায় রয়েছে । সোমবার সকাল থেকেই বাইসন দুটিকে জঙ্গলে ফেরানোর কাজ ফের শুরু করেন বনকর্মীরা। ঘটনাস্থলে আসেন কোচবিহারের ডিএফও পি অ্যাঞ্জেল ভূটিয়া । মাথাভাঙার রেঞ্জ অফিসার সজল পাল ।
সজল পাল জানান, রাত হয়ে যাওয়ায় বাইসন দুটিকে পুনরায় জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব হয়নি । বনদফতরের তরফে মাইক নিয়ে প্রচার করে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে । সোমবার সকাল থেকে ফের বাইসন দু'টিকে ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল রায়, দীনেশ বর্মন জানান, আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীরা । বারংবার গ্রামে বাইসন আসছে । বেশ কয়েক বিঘা আলু,তামাক ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে । তারা চান এ বিষয়ে বনদফতর দ্রুত পদক্ষেপ নিক ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গল থেকে বাইসনকে লোকালয়ে চলে আসতে দেখা গিয়েছে ৷ এমনকী তারা লোকালয়ে এসে বাসিন্দাদের উপর হামলা চালিয়েছে ৷ এর জেরে অনেকে আহত হয়েছে ৷ একাধিকবার বনদফতরের কর্মীরাও ঘায়েল হয়েছেন বাইসনের হামলায় ৷ তাই স্বাভাবতই বাইসনের আতঙ্কে দুচোখের পাতা এক করতে পারছে না এলাকাবাসীরা ৷
আরও পড়ুন: লোকালয়ে বাইসনের তাণ্ডব, উদ্ধার করতে গিয়ে আহত বনকর্মী