কোচবিহার, 25 নভেম্বর: 8 নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী কোচবিহার রাসমেলা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর দাবি করলেন ব্যবসায়ীরা (Traders Request Extension of Cooch Behar Rash Mela) ৷ এ নিয়ে মেলার ব্যবসায়ীদের তরফে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও পৌরসভার কাছে আবেদন জানানো হয়েছে ৷ ব্যবসায়ীদের দাবি, 8 নভেম্বর থেকে রাসমেলা শুরু হলেও, প্রথম 4-5 দিন দোকানপাট সাজাতেই চলে গিয়েছে ৷ ফলে ওইদিনগুলিতে মেলায় লোক আসেনি ৷ তাই মেলার সময়সীমা আর এক সপ্তাহ বাড়ানোর দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা ৷
এ নিয়ে কোচবিহার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুরজ ঘোষ বলেন, ‘‘মেলা জমতেই এক সপ্তাহ লেগে যায় ৷ তাই আরও এক সপ্তাহ সময় বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে ৷ এ বছর কোচবিহার রাস উৎসব ও মেলা 210 বছরে পড়েছে ৷ 1812 সালে মহারাজা হরেন্দ্রনারায়ণ রাস পূর্ণিমার দিন ভেটাগুড়িতে রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেন ৷ সেই দিন ভেটাগুড়িতে মেলা বসে ৷ পরবর্তীতে রাজপ্রাসাদ কোচবিহার শহরে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ পাশাপাশি, রাজপরিবারের আরাধ্য দেবতা মদনমোহন মন্দির স্থাপন করা হয় কোচবিহার শহরের বৈরাগী দিঘির পাড়ে ৷
তখন থেকেই রাস পূর্ণিমার দিনে মদনমোহন মন্দিরকে কেন্দ্র করে মেলা বসে কোচবিহারে ৷ এই রাসমেলা বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম রাস মেলা হিসেবে পরিচিত ৷ রাস উৎসব ও মেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকে কোচবিহার পৌরসভা ৷ আগে রাজারা রাসচক্র ঘুরিয়ে উৎসবের সূচনা করতেন ৷ তবে, বর্তমানে কোচবিহারের জেলাশাসক এবং দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি রাসচক্র ঘুরিয়ে উৎসবের সূচনা করেন ৷ এবছর 7 নভেম্বর রাস উৎসবের সূচনা হয়েছে ৷ আর পরদিন 8 নভেম্বর রাসমেলা শুরু হয় ৷
আরও পড়ুন: গোলাপাড়ায় সীমান্তের কাঁটাতারের পাশেই পূজিত হন উমা
কোচবিহার রাসমেলায় রাজ্যের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি, বাংলাদেশ থেকেও ইলিশ মাছ, খেজুরের গুড়, ঢাকাই জামদানি নিয়ে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ৷ ইতিমধ্যে, মেলা জমে উঠেছে ৷ তবে, প্রথমদিকে ব্যবসা না হওয়ায় মেলা আরও 7 দিন বাড়ানোর আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা ৷ আবেদন প্রসঙ্গে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীরা মেলা বাড়ানোর দাবি করেছেন ৷ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷’’