মেখলিগঞ্জ, 4 এপ্রিল : কোরোনার সংক্রমণ রুখতে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছে রাজ্য সরকার ৷ পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে ৷ তবে বর্তমান বাজারে এই দুইই এখন দুষ্প্রাপ্য ৷ এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের রানিরহাটে স্বনির্ভর দলের মহিলারা তৈরি করছেন মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার । প্রয়োজনে এগুলি জেলার বাইরেও বিক্রি করা হবে ।
কোরোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রাথমিক দুই রক্ষাকবচ হল মাস্ক ও হ্যান্ডটাইজ়ার । রাজ্যের দোকানগুলিতে যে পরিমাণ মাস্ক ও স্য়ানিটাইজ়ার মজুত ছিল কোরোনা আসার পর তা ফুরোতে বেশিদিন লাগেনি । বলা যেতে পারে 90 শতাংশ দোকানে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার মজুতই ছিল না এর আগে ৷ মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই তাই শুরু হয় এই দুইয়ের আকাল । একে চিকিৎসকরা বলছেন, মাস্ক পুনর্ব্যবহার না করতে, অন্যদিকে মাস্ক পাওয়াই যাচ্ছে না । এই অবস্থায় রুমাল না হয় শাড়ির আঁচলেই মুখ ঢাকছিলেন সকলে । অবশেষে মাস্কের এই আকাল মেটাতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোগ নেয় ।
রানিরহাটে স্বনির্ভর দলের মহিলাদের এই উদ্যোগে সহযোগিতা করছে ব্লক প্রশাসন ৷ তাদের প্রচেষ্টাকে সফল করার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছেন রানিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও ৷ ইতিমধ্যে এই স্বনির্ভর দলের তৈরি মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার মেখলিগঞ্জ ব্লক প্রশাসন ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাচ্ছে ৷
এবিষয়ে এই স্বনির্ভর দলের সদস্যরা জানান, "মাস্ক, স্যানিটাইজ়ারের চাহিদা রয়েছে , এগুলি এখন অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যেই পড়ে । প্রশাসনের সহযোগিতা এবং নিজেদের উদ্যোগে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার তৈরি করা চলছে । "