কোচবিহার, 9 জুলাই : কাটমানি ইশুতে এবার নাম জড়াল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের । অভিযোগ আনলেন উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দেবাশিস মজুমদার । আজ তিনি নাম না করে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন । দেবাশিসবাবু ফোনে বলেন, "উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাদের চাকরি হওয়া উচিত ছিল, তাদের চাকরি হয়নি । তার বদলে দক্ষিণবঙ্গ থেকে কাটমানি খেয়ে বহু লোককে নিযুক্ত করেন রবীন্দ্রনাথবাবু ।"
আজ দেবাশিস মজুমদার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন । পোস্টে তিনি লেখেন, "পুরো উত্তরবঙ্গ ও UBKV তে ননটিচিং নিয়োগ নিয়ে উনি যে টাকা তুলেছেন এবং ওঁর তাবেদারি করা শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী ও কিছু আধিকারিক ওঁকে যে পরিমাণ কাটমানি তুলতে সাহায্য করেছেন তা অনস্বীকার্য । এরা আমাকে কোনও ভালো কাজ করতে দেয়নি । বর্তমান নিয়ামক আমার সময় নিয়ামক পদে আসীন হয়েও স্থায়ী সহ নিয়ামক যা অসহযোগিতা করেছেন তা ভোলার নয় । এসবের পিছনে ওই ভদ্রলোকের হাত ছিল । UBKV-তে গবেষণা করতে চাইলে ওঁকে স্যার স্যার করতে হবে । উনি না চাইলে নিয়ামক, গবেষণা অধিকর্তা সহ অন্য আধিকারিকরা কোনদিনই ওই পদগুলিতে স্থায়ী নিয়োগ করতে দেবেন না । তাহলে যে কাটমানি তোলার পথ বন্ধ হয়ে যাবে । আমি খুব খুশি যে জনগণ ওঁকে শিক্ষা দিয়েছেন । আর ওঁর চাটুকাররা যদি এবার BJP-তে নাম লেখাতে আসে তাহলে আমরাও তৈরি ।"
ফেসবুক পোস্টে নাম না করে আক্রমণ করলেও ETV ভারতের প্রতিনিধিকে দেবাশিসবাবু বলেন, "ফেসবুক রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে উদ্ধৃতি করেই পোস্ট করেছি । উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে যারা জমি দিয়েছিলেন, তাঁরা অনেকেই জমি পাননি । আবার একই পরিবারের দুই থেকে তিনজন সদস্য চাকরি পেয়েছেন । দক্ষিণবঙ্গ থেকে বহু লোককে নিযুক্ত করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ । আমিই ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ গবেষণা অধিকর্তা । তারপর আর কোনও স্থায়ী গবেষণা অধিকর্তা নিয়োগ হয়নি কেন ?"