কোচবিহার, 16 মে: প্রাথমিক চাকরি নিয়োগে বাংলা দেখল তিন কন্যার লড়াই ৷ এক কন্যার চাকরি গিয়েছে দুর্নীতির অভিযোগে ৷ এবার আরেক কন্যার চাকরি গেল সঠিক তথ্য না-দেওয়ার অভিযোগে ৷ অঙ্কিতা-ববিতার হাত ঘুরে এবার চাকরি পেলেন তৃতীয় ব্যক্তি অনামিকা রায় ৷ মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়ের পরেই দেশের আইনের প্রতি আস্থার কথা জানিয়েছেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারি তথা চাকরিচ্যুত অঙ্কিতা অধিকারীর বাবা তথা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ৷
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতে লড়াইয়ে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতা সরকার ৷ দীর্ঘ পথ পেরিয়ে সেই চাকরি পেয়েওছিলেন ববিতা সরকার। এবার তিনিও চাকরি খোয়ালেন সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ৷ অ্যাকাদেমিক স্কোরে দু'নম্বর কম নিয়ে বিভ্রাটে মঙ্গলবার ববিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশের পরেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক ৷ তিনি বলেন, "আমি জানতে পেরেছি আদালতের নির্দেশ ৷ আইন যে আইনের পথে চলছে এটা তারই প্রমাণ ৷ আমি মনে করি আইন ঠিক পথেই হাঁটছে ৷"
আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বরখাস্ত ববিতার চাকরি পেয়ে প্রতিক্রিয়া অনামিকার
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশে চলতি বছরের 20 মে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা অঙ্কিতা অধিকারী। তাঁকে তাঁর বেতনও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে ৷ তিনি মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস স্কুলে চাকরি করতেন। অঙ্কিতাকে বরখাস্তের পর তাঁর চাকরি পান ববিতা সরকার। পরবর্তীতে ফের ববিতার চাকরি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এরপর এদিন আদালতের নির্দেশে চাকরি গেল ববিতার।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন ববিতা সরকারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে অনামিকা রায়কে তাঁর বাড়ির কাছাকাছি কোনও স্কুলে নিয়োগ করতে ৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তিন সপ্তাহের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষিকা হিসাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে তাঁকে নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ ববিতা সরকারকে 15 লক্ষ 92 হাজার 842 টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷