শীতলকুচি, 3 জুন : এদিন শীতলকুচির চানঘাট এলাকায় মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সায়ন্তন বসু । তিনি বলেন, ‘‘শাড়ি পরা মুসোলিনী নবান্নে । মানুষের কান্না ওঁকে 213 থেকে শূন্যে নামাবে ।’’ গত 24 মে কোচবিহারের শীতলকুচির চানঘাট এলাকায় বাঁশঝাড় থেকে বিজেপি কর্মী ধীরেন বর্মনের নিথর দেহ উদ্দার হয় । সেই সময় পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে ধীরেন বর্মনকে খুন করেছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ৷ যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ।
বুধবার, মৃত ধীরেন বর্মনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং সমবেদনা জানান রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু । সঙ্গে ছিলেন সাংসদ নিশীথ প্রমাণিক, কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতী রাভা, শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন প্রমুখ । এদিন মৃত বিজেপি কর্মী ধীরেন বর্মনের স্ত্রী সাবিত্রী বর্মন এবং তার কন্যা পল্লবী বর্মনের সঙ্গে কথা বলে বিজেপি নেতৃত্ব ও তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন । পরিবারটি অত্যন্ত গরিব, একমাত্র রোজগেরে ছিলেন ধীরেন বর্মন ৷ তাঁর মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার । বিজেপির তরফে এদিন 5 লাখ টাকার আর্থিক সহয়তা চেক প্রদান করা হয় মৃতের পরিবারকে । বিজেপি দেওয়া আর্থিক সাহায্য প্রথমে নিতে চাননি ধীরেন বর্মনের পরিবার । পরে হাতে তুলে নেন চেক । এদিন বিজেপি নেতাদের দেখা মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা ।
আরও পড়ুন...সাবালককে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, কটাক্ষ ‘নাবালক’-এর
সায়ন্তন বলেন "বিজেপি কর্মী ধীরেন বর্মনকে খুন করেছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা । প্রাণ ফেরাতে পারব না, সামান্য কিছু আর্থিক সাহায্য করলাম । পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র । এত জন কার্যকর্তার মৃত্যু হল, কিন্তু একজনও গ্রেপ্তার হল না । শাড়ি পরা মুসোলিনী যদি দেখতে চান নবান্নে পাবেন । এই রকম সন্ত্রাস চলতে থাকলে ছয় মাসের বেশি সরকার থাকবে না । মানুষের চোখের কান্না ওঁকে শূন্যে নামাবে ।’’