ETV Bharat / state

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে 15 বছরের কারাদণ্ড - কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে কারাদণ্ড

নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে ব্যক্তিকে 15 বছরের কারাদণ্ড ৷ কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক (স্পেশাল কোর্ট) মধুছন্দা বোস দোষীসাব্যস্তকে এই সাজা দেন ।

15 years imprisonment of a person for physical harassment of his own daughter
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Dec 3, 2019, 6:08 PM IST

কোচবিহার, 3 ডিসেম্বর : নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে 15 বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত । মঙ্গলবার কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক (স্পেশাল কোর্ট) মধুছন্দা বোস দোষীসাব্যস্তকে এই সাজা দেন ।

কোচবিহার থানা এলাকায় ঠাকুমা-ঠাকুরদার সঙ্গে থাকে ওই কিশোরী ৷ তার মা পরিবার ছেড়ে চলে গেছে ৷ অভিযোগ, দিনের পর দিন তার বাবা তাকে ধর্ষণ করে ৷ শেষমেশ সহ্য করতে না পারে সে একদিন তার কাকিমাকে গোটা বিষয়টি জানায় ৷ কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে কাকিমাও বিষয়টি চেপে যান । এরপর বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে 2018 সালের জুনে ওই কিশোরী বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায় । ট্রেনে করে NGP স্টেশনে পৌঁছায় ৷ সেখানে তাকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন এক ব্যক্তি (পেশায় রিকশাচালক) ৷ তাঁর সন্দেহ হয় ৷ তিনি ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে GRP-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন । এরপর GRP তার বাড়িতে যোগাযোগ করলে ওই কিশোরীর কাকা NGP থেকে তাকে কোচবিহারে নিয়ে আসেন । কিন্তু কোচবিহার বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে সে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে । স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷

সেখানে ওই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । প্রায় দেড় বছর ধরে মামলা চলে ৷ গতকাল বিশেষ আদালত অভিযুক্তকে দোষীসাব্যস্ত করে । আজ দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তির 15 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করেন বিচারক ৷ এ ছাড়া কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করা হয় । অনাদায়ে আরও দু'বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয় । মামলার সরকারি আইনজীবী শিবেন রস্য জানিয়েছেন, দেড় বছর মামলা চলার পর আজ বিচারক এই সাজা ঘোষণা করেন ৷

কোচবিহার, 3 ডিসেম্বর : নিজের কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে 15 বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত । মঙ্গলবার কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক (স্পেশাল কোর্ট) মধুছন্দা বোস দোষীসাব্যস্তকে এই সাজা দেন ।

কোচবিহার থানা এলাকায় ঠাকুমা-ঠাকুরদার সঙ্গে থাকে ওই কিশোরী ৷ তার মা পরিবার ছেড়ে চলে গেছে ৷ অভিযোগ, দিনের পর দিন তার বাবা তাকে ধর্ষণ করে ৷ শেষমেশ সহ্য করতে না পারে সে একদিন তার কাকিমাকে গোটা বিষয়টি জানায় ৷ কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে কাকিমাও বিষয়টি চেপে যান । এরপর বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে 2018 সালের জুনে ওই কিশোরী বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায় । ট্রেনে করে NGP স্টেশনে পৌঁছায় ৷ সেখানে তাকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন এক ব্যক্তি (পেশায় রিকশাচালক) ৷ তাঁর সন্দেহ হয় ৷ তিনি ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে GRP-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন । এরপর GRP তার বাড়িতে যোগাযোগ করলে ওই কিশোরীর কাকা NGP থেকে তাকে কোচবিহারে নিয়ে আসেন । কিন্তু কোচবিহার বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে সে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে । স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷

সেখানে ওই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । প্রায় দেড় বছর ধরে মামলা চলে ৷ গতকাল বিশেষ আদালত অভিযুক্তকে দোষীসাব্যস্ত করে । আজ দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তির 15 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করেন বিচারক ৷ এ ছাড়া কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করা হয় । অনাদায়ে আরও দু'বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয় । মামলার সরকারি আইনজীবী শিবেন রস্য জানিয়েছেন, দেড় বছর মামলা চলার পর আজ বিচারক এই সাজা ঘোষণা করেন ৷

Intro:কোচবিহার: নিজের নাবালিকা মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করার দায়ে বাবাকে 15 বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত। মঙ্গলবার কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ (স্পেশাল কোর্ট) মধুছন্দা বোস এই ঘটনায় অভিযুক্ত গৌতম রায় কে এই সাজা দেন। এই ঘটনায় আদালত চত্বরে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের বালাসি গ্রামের এক চৌদ্দ বছরের নাবালিকা ঠাকুরদা ও ঠাকুমার কাছে থাকতো। বাবা অবসরপ্রাপ্ত আধাসেনা কর্মী। মা অনেক আগেই ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ওই নাবালিকার বাবা মেয়েটিকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে বলে অভিযোগ। বিষয়টি সহ্য করতে না পারে ওই নাবালিকা একদিন তার কাকিমাকে গোটা বিষয়টি জানালে লোকলজ্জার ভয়ে কাকিমা বিষয়টি চেপে যায়। এরপর গত 2018 সালের জুন মাসে মেয়েটি বাবার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। ট্রেনে চেপে এনজিপি স্টেশনে নেমে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। সেখানে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে এক রিক্সাওয়ালার সন্দেহ হয় এরপর সে ওই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে জিআরপির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর জিআরপি তার বাড়িতে যোগাযোগ করলে তার কাকা মেয়েটিকে এন জি পি থেকে কোচবিহারে নিয়ে আসে। কোচবিহার বাসস্ট্যান্ড থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ এর ভিত্তিতে ওই নাবালিকার বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রায় দেড় বছর ধরে মামলা চলার পর সোমবার বিশেষ আদালত অভিযুক্ত গৌতম রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে। আজ তাকে 15 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করেন এছাড়া কুড়ি হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো দু বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। মামলার সরকারি আইনজীবী শিবেন রস্য জানিয়েছেন, দেড় বছর মামলা চলার পর এদিন বিচারপতি এই সাজা ঘোষণা করেন।# Body:wb_crb_03_conviction _vis_7205341Conclusion:wb_crb_03_conviction _vis_7205341

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.