মেখলিগঞ্জ, 20 এপ্রিল : লকডাউনে ঘরবন্দী সকলে । কোরোনা সংক্রমণের ভয়ে নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন যৌনপল্লির মূল রাস্তা ৷ ফলে প্রায় এক মাস হতে চলল, আয় নেই যৌনকর্মীদের । অর্ধাহারে দিন কাটছে এমন অনেকেই আছেন কোচবিহারের চ্যাঙরাবান্ধা যৌনপল্লিতে । শিশুদের মুখেও ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারছেন না তাঁরা । এই পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চ্যাংরাবান্ধা যৌনপল্লির পাশে দাঁড়ালেন চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র অধিকারী ৷ গতকাল প্রায় 150 জন যৌনকর্মীর হাতে তুলে দেন খাদ্যসামগ্রী ।
এর আগে আর্থিকভাবে দুর্বল ও বয়স্ক যৌনকর্মীদের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করে মেখলিগঞ্জ ব্লক প্রশাসন ও চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েত । যৌথ উদ্যোগে যৌনকর্মীদের হাতে চাল, ডাল, তেল, সোয়াবিন ইত্যাদি খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু সেই দু'কেজি চাল দিয়ে আর ক'দিন ! এদিকে সরকারি কোনও সুবিধাও তাঁরা পান না । এই পরিস্থিতিতে গতকাল তাঁদের চাল, ডাল, তেল, আলু দিয়ে সাহায্য করলেন পরেশচন্দ্র অধিকারী ।
এবিষয়ে যৌনকর্মীদের মধ্যে অনেকেই বলেন, "কোরানার জেরে আয় বন্ধ । দু'বেলা ঠিকমতো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না ৷ সরকার সাহায্য না করলে খাব কী?"
খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বিতরণে এসে পরেশচন্দ্র অধিকারী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একাজ করলেন তিনি । চেষ্টা করবেন, আরও কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়ে যৌনকর্মীদের সাহায্য করার ৷