ETV Bharat / state

বাংলাদেশে পাটবীজ রপ্তানি করতে গিয়ে আটকে 61 জন ট্রাক চালক

author img

By

Published : Apr 6, 2020, 8:13 AM IST

প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে পাটবীজ রপ্তানি করতে গেলেও জ়িরো পয়েন্টে আটকে পড়েছে 61 জন ভারতীয় ট্রাক চালক । কোচবিহারের চ্যাংরাবাান্ধা সীমান্তের জ়িরো পয়েন্টে আটকে ভিডিয়োর মাধ্যমে দেশে ফেরানোর আর্জি জানাচ্ছে তারা ।

Coochbehar
কোচবিহার

চ্যাংরাবান্ধা, 6 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে বন্ধ দেশের সমস্ত আন্তর্জাতিক সীমান্ত । বন্ধ আমদানি-রপ্তানিও । কিন্তু লকডাউনের শুরু থেকেই যেমন বলা হয়েছিল দোকান, বাজার বা আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জন্য ছাড় রয়েছে । এই নিয়ম মেনেই শনিবার প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পাটবীজ বাংলাদেশে রপ্তানি করতে গেছিল কোচবিহারের 61 জন ট্রাক চালক । কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা হয়ে বাংলাদেশে পাটবীজ পৌঁছে দিলেও ফেরার সময় জ়িরো পয়েন্টে আটকে দেওয়ায় এখন আর বাড়ি ফিরতে পারছে না তারা । এই পরিস্থিতিতে ভিডিয়োর মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছে তারা ।

দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা হওয়ার পর অনেক ট্রাকই আাটকে পড়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে । এক্ষেত্রে যারা লকডাউনের আগে বেরিয়ে পড়েছিল তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় । লকডাউনের নিয়মে জানানো হয়, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জন্য ছাড় রয়েছে সবক্ষেত্রে । কোচবিহারের এই 61 জন ট্রাক চালকের এখন দাবি, সেইমতোই তারা পাটবীজ নিয়ে বাংলাদেশে গেছিল । কিন্তু হঠাৎ-ই তাদের আটকে দেওয়া হয় ।

এবিষয়ে ভিডিয়ো বার্তায় ট্রাক চালকরা বলে, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে শনিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করি আমরা । সেখানে পাটবীজ দিয়ে ফেরার সময় গতকাল সকালে জ়িরো পয়েন্টের গেটে আটকে পড়েছি । প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে এসেছিলাম । তাছাড়া সুরক্ষার জন্য ট্রাকের ভিতরেই ছিলাম সকলে । আমাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক । এই বার্তার পাশাপাশি এখন তাদের প্রশ্ন, প্রশাসনের যদি অনুমতি নাই থাকত তাহলে কেন তাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল ৷ একই প্রশ্ন করেছে ট্রাক চালকদের পরিবারও ।

Coochbehar
জ়িরো পয়েন্টে আটকে ট্রাকগুলি

একদিকে যখন এই পরিস্থিতি, অন্য়দিকে গতকালই দুপুরে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে কোরানা মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও বাণিজ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন উত্তরবঙ্গের তিন জেলার দায়িত্বে থাকা ADG অজয় কুমার নন্দা ৷ সীমান্তের BSF ক্যাম্প এ BSF ,শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি । ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকা এবং জ়িরো পয়েন্ট পরিদর্শনও করেন ৷ সেখানে ট্রাক চালকদের আটকে থাকতে দেখে সেবিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের থেকে খোঁজ-খবর নেন । তবে, এবিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি ।

এবিষয়ে চ্যাংরাবান্ধা শুল্ক দপ্তরের সুপারিনটেন্ডেন্ট কপিল বাইন জানান, "কোরানা পরিস্থিতিতে ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট বন্ধ থাকলেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমদানি -রপ্তানিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে নিষেধাজ্ঞা আসেনি ৷" এবিষয়ে শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানান, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ে নির্দেশ পেলেই দেশে ফেরানো হবে ট্রাক চালকদের ।

চ্যাংরাবান্ধা, 6 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে বন্ধ দেশের সমস্ত আন্তর্জাতিক সীমান্ত । বন্ধ আমদানি-রপ্তানিও । কিন্তু লকডাউনের শুরু থেকেই যেমন বলা হয়েছিল দোকান, বাজার বা আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জন্য ছাড় রয়েছে । এই নিয়ম মেনেই শনিবার প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পাটবীজ বাংলাদেশে রপ্তানি করতে গেছিল কোচবিহারের 61 জন ট্রাক চালক । কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা হয়ে বাংলাদেশে পাটবীজ পৌঁছে দিলেও ফেরার সময় জ়িরো পয়েন্টে আটকে দেওয়ায় এখন আর বাড়ি ফিরতে পারছে না তারা । এই পরিস্থিতিতে ভিডিয়োর মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছে তারা ।

দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা হওয়ার পর অনেক ট্রাকই আাটকে পড়ে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে । এক্ষেত্রে যারা লকডাউনের আগে বেরিয়ে পড়েছিল তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় । লকডাউনের নিয়মে জানানো হয়, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জন্য ছাড় রয়েছে সবক্ষেত্রে । কোচবিহারের এই 61 জন ট্রাক চালকের এখন দাবি, সেইমতোই তারা পাটবীজ নিয়ে বাংলাদেশে গেছিল । কিন্তু হঠাৎ-ই তাদের আটকে দেওয়া হয় ।

এবিষয়ে ভিডিয়ো বার্তায় ট্রাক চালকরা বলে, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে শনিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করি আমরা । সেখানে পাটবীজ দিয়ে ফেরার সময় গতকাল সকালে জ়িরো পয়েন্টের গেটে আটকে পড়েছি । প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে এসেছিলাম । তাছাড়া সুরক্ষার জন্য ট্রাকের ভিতরেই ছিলাম সকলে । আমাদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক । এই বার্তার পাশাপাশি এখন তাদের প্রশ্ন, প্রশাসনের যদি অনুমতি নাই থাকত তাহলে কেন তাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল ৷ একই প্রশ্ন করেছে ট্রাক চালকদের পরিবারও ।

Coochbehar
জ়িরো পয়েন্টে আটকে ট্রাকগুলি

একদিকে যখন এই পরিস্থিতি, অন্য়দিকে গতকালই দুপুরে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে কোরানা মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও বাণিজ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন উত্তরবঙ্গের তিন জেলার দায়িত্বে থাকা ADG অজয় কুমার নন্দা ৷ সীমান্তের BSF ক্যাম্প এ BSF ,শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি । ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকা এবং জ়িরো পয়েন্ট পরিদর্শনও করেন ৷ সেখানে ট্রাক চালকদের আটকে থাকতে দেখে সেবিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের থেকে খোঁজ-খবর নেন । তবে, এবিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি ।

এবিষয়ে চ্যাংরাবান্ধা শুল্ক দপ্তরের সুপারিনটেন্ডেন্ট কপিল বাইন জানান, "কোরানা পরিস্থিতিতে ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট বন্ধ থাকলেও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমদানি -রপ্তানিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে নিষেধাজ্ঞা আসেনি ৷" এবিষয়ে শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানান, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ে নির্দেশ পেলেই দেশে ফেরানো হবে ট্রাক চালকদের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.