কোচবিহার, 13 মে : রাজ্যপালের সফর চলাকালীন হঠাৎই উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের দিনহাটা শহরে ৷ রাজ্যপালের কনভয় আটকানোর অভিযোগ উঠল কিছু যুবকের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল ঘটনাস্থলেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ৷ ঘটনার জন্য সরাসরি পুলিশ প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তোলেন তিনি ৷ তাঁর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় দিনহাটা থানার আইসি ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে ৷ সকলের সামনেই তাঁদের কড়া ভাষায় তিরস্কার করেন রাজ্যপাল ৷
রাজ্যপাল আগেই বলেছিলেন রাজ্য়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াবেন ৷ বেরোবেন রাজ্য সফরে ৷ সেই মোতাবেক, বৃহস্পতিবার কোচবিহারে পৌঁছন রাজ্যপাল ৷ মাথাভাঙা ও শীতলকুচির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি ৷ কথা বলেন হিংসার শিকার মানুষের সঙ্গে ৷ ধনকড়ের দাবি, রাজ্য়জুড়ে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে ৷ এর জন্য রাজ্য়ের তৃণমূল সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি ৷
এসবের মধ্যেই হঠাৎ করে উত্তেজনা ছড়ায় দিনহাটার মদনমোহন বাড়ি মোড়ে ৷ রাজ্য়পালের কনভয় দেখেই কিছু যুবক ‘গো ব্য়াক’ স্লোগান তোলেন ৷ তা দেখে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল নেমে আসেন তাঁর গাড়ি থেকে ৷ তাঁর অভিযোগ, তাঁর কনভয় আটকানো হয়েছে ৷ রাস্তায় নেমে সটান স্থানীয় থানার আইসি-র খোঁজ করেন ৷ আইসির দিকে আঙুল তুলে কার্যত ধমক দেন রাজ্যপাল ৷ আইসি-র কাছে জানতে চান, এমন অব্যবস্থা হল কীভাবে ? আইসি তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তাঁর কাছে খবর ছিল কনভয় কোচবিহারের দিকে যাবে ৷ রাজ্যপাল পাল্টা প্রশ্ন করেন, তাও যদি হয়, তাহলেও রাজ্য়পালের কনভয় কি এভাবে আটকানো যায় ? প্রশ্নের মুখে কার্যত হতভম্ব হয়ে যান আইসি ৷
আরও পড়ুন : কোচবিহারে রাজ্যপাল, সকাল থেকেই তৈরি কড়া নিরাপত্তার বলয়
ঘটনার সময় রাজ্যপালের সঙ্গে ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ৷ তাঁর এবং রাজ্যপালের নিরাপত্তারক্ষীদের তাড়া খেয়ে, ‘গো ব্য়াক’ স্লোগান দিতে থাকা যুবকরা পালিয়ে যান ৷ এই ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন জগদীপ ধনকড় ৷ তাঁর দাবি, রাজ্য়ে যে আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ ৷