কোচবিহার, 12 নভেম্বর: স্কুল চলছে ঠিকই ৷ তবে ক্লাসঘরে নয়, গাছতলায় ৷ ভগ্ন দশা ক্লাসঘরগুলোর ৷ যে কোনও সময় বিপদ হতে পারে ৷ তাই ঝুঁকি না নিয়ে শিক্ষকরা গাছতলাতেই পড়াচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের ৷ স্কুলে প্রায় সবগুলি ঘরের চাল ভেঙে গেছে ৷ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পঞ্চায়েত এলাকায় বাঘডকরা ফুলকাডাবরির গোলাপাড়া গ্রামের সরলক্ষ্মী নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্রটা এইরকমই ৷
2006 সালে স্থাপিত হয় স্কুলটি ৷ BSF-এর কড়া নিরাপত্তা পার করে যেতে হয় গ্রামে ৷ গ্রামে স্কুল স্থাপনে জমি দান করেন গ্রামবাসী সুভাষ চন্দ্র রায় ও রঞ্জিত রায় । বর্তমানে স্কুলে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফোর পর্যন্ত মোট 64 জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে । দুই বছর আগে ঝড়ে উড়ে যায় স্কুলের চাল ৷ স্কুলে একটি ঘরের নির্মাণ কার্য মাঝপথেই বন্ধ করে দেয় প্রশাসন ।
স্কুলের শিক্ষক সেন্টু অধিকারি বলেন, "2010 সালে আমাদের স্কুলে নতুন ঘর বানানোর কাজ শুরু হয় ৷ কিন্তু অজানা কারণে সেই ঘরের কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় থেকে যায় । তিনটি পৃথক শ্রেণিকক্ষ থাকলেও তার কোনওটাই ব্যবহার যোগ্য নয় । অনেক আগেই সেগুলোর চাল উড়ে গেছে ও ভেঙে পড়েছে ৷ প্রশাসনকে অনেকবার জানিয়েও লাভ হয়নি ৷ স্কুলে কোনও শৌচালয় নেই ৷ শিক্ষকদের জন্য অফিসরুম, পানীয়জলের ভালো ব্যবস্থাও নেই । নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে আমাদের ।"
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জন রায় বলেন, "বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জানিয়ে আমরা বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি ৷ লিখিত আবেদন করেছি ৷ কিন্তু কোনও লাভ হয়নি ।" গ্রামবাসী তপন কুমার বর্মণ বলেন, " বিদ্যালয়ের খুবই খারাপ অবস্থা ৷ ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুলঘরের চাল ৷ গাছতলায় পড়তে হচ্ছে বাচ্চাদের ৷ বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর সংস্কার করা না হলে আমরা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আন্দোলনে নামব ।"