ETV Bharat / state

স্কুলের বেহাল দশা, ঝুঁকি না নিয়ে গাছতলাতেই চলছে পঠন-পাঠন

author img

By

Published : Nov 12, 2019, 5:21 PM IST

Updated : Nov 12, 2019, 6:49 PM IST

স্কুলের ঘরগুলির চাল উড়ে গেছে । পরিকাঠামো বেহাল । গাছতলাতেই চলছে পঠন-পাঠন ৷

সরলক্ষ্মী নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়

কোচবিহার, 12 নভেম্বর: স্কুল চলছে ঠিকই ৷ তবে ক্লাসঘরে নয়, গাছতলায় ৷ ভগ্ন দশা ক্লাসঘরগুলোর ৷ যে কোনও সময় বিপদ হতে পারে ৷ তাই ঝুঁকি না নিয়ে শিক্ষকরা গাছতলাতেই পড়াচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের ৷ স্কুলে প্রায় সবগুলি ঘরের চাল ভেঙে গেছে ৷ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পঞ্চায়েত এলাকায় বাঘডকরা ফুলকাডাবরির গোলাপাড়া গ্রামের সরলক্ষ্মী নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্রটা এইরকমই ৷

aa
গাছতলাতেই চলছে পঠন-পাঠন

2006 সালে স্থাপিত হয় স্কুলটি ৷ BSF-এর কড়া নিরাপত্তা পার করে যেতে হয় গ্রামে ৷ গ্রামে স্কুল স্থাপনে জমি দান করেন গ্রামবাসী সুভাষ চন্দ্র রায় ও রঞ্জিত রায় । বর্তমানে স্কুলে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফোর পর্যন্ত মোট 64 জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে । দুই বছর আগে ঝড়ে উড়ে যায় স্কুলের চাল ৷ স্কুলে একটি ঘরের নির্মাণ কার্য মাঝপথেই বন্ধ করে দেয় প্রশাসন ।

দেখুন ভিডিয়ো

স্কুলের শিক্ষক সেন্টু অধিকারি বলেন, "2010 সালে আমাদের স্কুলে নতুন ঘর বানানোর কাজ শুরু হয় ৷ কিন্তু অজানা কারণে সেই ঘরের কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় থেকে যায় । তিনটি পৃথক শ্রেণিকক্ষ থাকলেও তার কোনওটাই ব্যবহার যোগ্য নয় । অনেক আগেই সেগুলোর চাল উড়ে গেছে ও ভেঙে পড়েছে ৷ প্রশাসনকে অনেকবার জানিয়েও লাভ হয়নি ৷ স্কুলে কোনও শৌচালয় নেই ৷ শিক্ষকদের জন্য অফিসরুম, পানীয়জলের ভালো ব্যবস্থাও নেই । নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে আমাদের ।"

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জন রায় বলেন, "বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জানিয়ে আমরা বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি ৷ লিখিত আবেদন করেছি ৷ কিন্তু কোনও লাভ হয়নি ।" গ্রামবাসী তপন কুমার বর্মণ বলেন, " বিদ্যালয়ের খুবই খারাপ অবস্থা ৷ ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুলঘরের চাল ৷ গাছতলায় পড়তে হচ্ছে বাচ্চাদের ৷ বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর সংস্কার করা না হলে আমরা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আন্দোলনে নামব ।"

কোচবিহার, 12 নভেম্বর: স্কুল চলছে ঠিকই ৷ তবে ক্লাসঘরে নয়, গাছতলায় ৷ ভগ্ন দশা ক্লাসঘরগুলোর ৷ যে কোনও সময় বিপদ হতে পারে ৷ তাই ঝুঁকি না নিয়ে শিক্ষকরা গাছতলাতেই পড়াচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের ৷ স্কুলে প্রায় সবগুলি ঘরের চাল ভেঙে গেছে ৷ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পঞ্চায়েত এলাকায় বাঘডকরা ফুলকাডাবরির গোলাপাড়া গ্রামের সরলক্ষ্মী নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্রটা এইরকমই ৷

aa
গাছতলাতেই চলছে পঠন-পাঠন

2006 সালে স্থাপিত হয় স্কুলটি ৷ BSF-এর কড়া নিরাপত্তা পার করে যেতে হয় গ্রামে ৷ গ্রামে স্কুল স্থাপনে জমি দান করেন গ্রামবাসী সুভাষ চন্দ্র রায় ও রঞ্জিত রায় । বর্তমানে স্কুলে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফোর পর্যন্ত মোট 64 জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে । দুই বছর আগে ঝড়ে উড়ে যায় স্কুলের চাল ৷ স্কুলে একটি ঘরের নির্মাণ কার্য মাঝপথেই বন্ধ করে দেয় প্রশাসন ।

দেখুন ভিডিয়ো

স্কুলের শিক্ষক সেন্টু অধিকারি বলেন, "2010 সালে আমাদের স্কুলে নতুন ঘর বানানোর কাজ শুরু হয় ৷ কিন্তু অজানা কারণে সেই ঘরের কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় থেকে যায় । তিনটি পৃথক শ্রেণিকক্ষ থাকলেও তার কোনওটাই ব্যবহার যোগ্য নয় । অনেক আগেই সেগুলোর চাল উড়ে গেছে ও ভেঙে পড়েছে ৷ প্রশাসনকে অনেকবার জানিয়েও লাভ হয়নি ৷ স্কুলে কোনও শৌচালয় নেই ৷ শিক্ষকদের জন্য অফিসরুম, পানীয়জলের ভালো ব্যবস্থাও নেই । নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে আমাদের ।"

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জন রায় বলেন, "বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জানিয়ে আমরা বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি ৷ লিখিত আবেদন করেছি ৷ কিন্তু কোনও লাভ হয়নি ।" গ্রামবাসী তপন কুমার বর্মণ বলেন, " বিদ্যালয়ের খুবই খারাপ অবস্থা ৷ ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুলঘরের চাল ৷ গাছতলায় পড়তে হচ্ছে বাচ্চাদের ৷ বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর সংস্কার করা না হলে আমরা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আন্দোলনে নামব ।"

Intro:কোচবিহারের সীমান্তে ঘেঁষে প্রত্যন্ত গোলাপাড়া গ্রামের স্কুলে নেই শ্রেণীকক্ষ ,গাছ তলাই ভরসা পঠনপাঠন৷


কোচবিহার :১২ নভেম্বর :

স্কুল চলছে ,কিন্তূ শ্রেণী কক্ষের অভাবে বাধ্য হয়েই গাছ তলায় পড়াতে হচ্ছে ৷কেননা ,ভগ্ন ও বিপদ সংকট শ্রেণীকক্ষে যে কোন সময় ঘটতে পারে বিপদ ৷ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের সীমান্ত বর্তী প্রত্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা বাঘডকরা ফুলকাডাবরির গোলাপারা গ্রামের "স্বরলক্ষ্মী নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়"এ এমন ঘটনা ৷


বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের বেহাল অবস্থায় শুধু একটি একটি ঘরে কোনক্রমে চলে পঠনপাঠন।বাকি ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো হয় গাছ তলায় ৷
বিদ্যালয়টির সব ঘরের উপরের অংশ(চাল ) ভেঙে রয়েছে , যে কোন মুহুর্তে ঘরের চাল ভেঙে পড়ে হতে পারে ,বড়সড় দুর্ঘটনা আশঙ্কা গ্রামবাসীদের।


সূত্রে খবর ,
২০০৬সালে এই বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় কোচবিহারের সবচেয়ে প্রত্যন্ত সীমান্ত ঘেঁষে মেখলিগঞ্জ ব্লকের এই গোলাপাড়া গ্রাম,ঐ গ্রামের চার পাশে বাংলাদেশ সীমান্ত ।গ্রামে প্রবেশ করার জন্য একটিই রাস্তা যার দুই পাশে কাটাতার ঘেরা ৷সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এর কড়া নিরাপত্তা পেড়িয়ে যেতে হয় ওই গ্রামে ৷প্রায় এক কিমি সীমান্তে সুড়ঙ্গ রাস্তা পেড়িয়ে ঐ গ্রাম , কাটাতারে আবদ্ধ এই গ্রামের শিশুদের শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় স্থাপনে জমিদান করেন গ্রামবাসী সুভাষ চন্দ্র রায় ও রঞ্জিত রায়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৬৪ জন ছাত্রছাত্রী থাকলেও তাদের জন্য নেই পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ।দুই বছর আগেই ঝড়ে উড়ে যায় ঘরের চাল ,আবার একটি স্কুল ঘর নির্মাণের মাঝ পথেই কাজ বন্ধ করে দেন প্রশাসন ৷ফলে শ্রেণি কক্ষের অভাবে গাছের তলায় চলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা।



এই নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেন্টু অধিকারী জানান, ২০১০সালে আমাদের স্কুলে নতুন ঘর বানানোর কাজ শুরু হয়, কিন্তু অজানা কারনে সেই ঘরের কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। তিনটি পৃথক শ্রেণিকক্ষ থাকলেও তার কোনটাই ব্যবহার যোগ্য নয়।অনেক আগেই সেগুলোর চাল উড়ে গেছে ,কোথায় ভেঙ্গে পড়ে আছে ৷ প্রশাসনকে অনেক বার জানিয়েও লাভ হয়নি ৷ "
দীর্ঘদিন যাবত অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই ঘরগুলি। তিনি আরো জানান, শুধু পৃথক শ্রেণি কক্ষই নয়, বিদ্যালয়ে নেই কোন শৌচালয়, নেই শিক্ষকদের জন্য অফিস রুম, সু-ব্যবস্থা নেই পানীয়জলের। নানান সমস্যার মধ্যদিয়ে চলতে হচ্ছে আমাদের।

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জন রায় জানন " সীমান্তবর্তী এই বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জানিয়ে আমরা বহুবার প্রশাসনের দারস্থ হয়েছি, লিখিত অভিযোগ জমা করেছি তাতেও কোন লাভ হয়নি।


এদিন বিদ্যালয়ের বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীদের অনেকে। গ্রাম বাসি তপন কুমার বর্মণ জানান ,খুবই খারাপ আবস্থা ,ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুল ঘরের চাল ,শ্রেনী কক্ষ না থাকায় বাইরে গাছ তলায় পড়তে হচ্ছে বাচ্চাদের ৷ অতিদ্রুত বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোর সংস্কার করা না হলে, আগামীদিনে আমরা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামব।Body:COB Conclusion:
Last Updated : Nov 12, 2019, 6:49 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.