কোচবিহার, 14 অক্টোবর: দশমীর দিন মালবাজারের হড়পা বান (Flash Flood) থেকে শিক্ষা নিয়ে ছট পুজোতে তোর্সা (Makeshift Bridge on Torsha) নদীর উপর অস্থায়ী সাঁকো তৈরির সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এল পৌরসভা ও প্রশাসন । শুক্রবার দুপুরে কোচবিহার (Cooch Behar News) ল্যান্সডাউন হলে শহরের বিভিন্ন ছট পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয় । সেখানে প্রশাসনের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয় ছটপুজোর বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ।
জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই তোর্সা নদীর পাড়ে কোচবিহারের হিন্দিবাসী সম্প্রদায়ের হাজার পাঁচেক বাসিন্দা ছটপুজো করে থাকেন । এই পুজোকে কেন্দ্র করে হাজার বিশেক লোকের সমাগম হয় ওই নদীর পাড়ে । তোর্ষা নদীর পূর্ব পাড়ে পুজো অনুষ্ঠিত হয় ৷ সেই সময় পৌরসভার উদ্যোগে নদীর উপর একটি অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করা হয় । সেই সাঁকো পেরিয়ে ওপারে গিয়েও পুজো দেন ভক্তরা । বছর দুয়েক আগে ছটপুজোর বিকেলে তোর্সা নদীর উপর গড়ে ওঠা অস্থায়ী সাঁকো ভেঙে গেলে বহু পুণ্যার্থী জলে পড়ে যান । যদিও সে সময় জল কম থাকায় বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি ।
আরও পড়ুন: মালবাজারের দুর্ঘটনা নিয়ে শকুনের রাজনীতি শুভেন্দুর, কটাক্ষ কুণালের
গত দশমীর দিন লালবাজারে হড়পা বানে যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার আর তোর্সা নদীর উপর অস্থায়ী সাঁকো তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না পৌরসভা । কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক শেখ রাকিবুর রহমান বলেন, তোর্সা নদীর উপরে সাঁকো তৈরি করতে গেলে একটু ঝুঁকি হয়ে যায় । তাই এ বার সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসা হয়েছে । পুজো উদ্যোক্তাদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ।
পাশাপাশি গ্রিন ট্রাইব্যুনালের আদেশের কারণে এ বার কোচবিহারের সাগরদিঘিতেও ছটপুজো করা যাবে না । কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, নদীর মুখ এ বার অনেকটাই সরে গিয়েছে । তাছাড়া নদীর জলের গভীরতা যা, তাতে ছটপুজোর সময় তোর্সা নদীর উপরে অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করা সম্ভব নয় । তাই ফাঁসির ঘাট, বিসর্জন ঘাট ও হুজুর সাহেবের মেলা যে মাঠে হবে সেই মাঠেই পুজোর আয়োজন করা হবে ।