ETV Bharat / state

Migrant Labourer Death: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের

author img

By

Published : Nov 23, 2022, 6:16 PM IST

উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচির বাসিন্দা বুলবুলি বর্মনের (Migrant Labourer Death) ৷ ঘটনায় ঠিকাদারের (Contractor) বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করছেন মৃতার মেয়ে ও জামাই ৷ ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতারও অভিযোগ করেছেন তাঁরা ৷

family alleges Murder against Contractor in a Migrant Labourer Death in Uttar Pradesh
Migrant Labourer Death: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের

কোচবিহার, 23 নভেম্বর: ভিনরাজ্যের ঠিকাদারের কাছে 20 হাজার টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে ! এদিকে, মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ৷ এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) কাজ করতে গিয়েছিলেন কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচির বাসিন্দা বুলবুলি বর্মন ৷ কিন্তু, সেখান থেকে আর ফেরা হল না প্রৌঢ়ার ৷ সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, অসুস্থ হয়ে আলিগড়ের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বুলবুলি ৷ পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ কিন্তু, পরিবারের আশঙ্কা, খুন করা হয়েছে বাংলার এই পরিযায়ী শ্রমিককে (Migrant Labourer Death) ৷

বুলবুলির মেয়ে দীপিলিকা বর্ম ও জামাই চন্দন বর্মন জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে কোচবিহারের বাড়িতে তাঁর দেহ আনতে 50 হাজার টাকা চেয়েছিলেন এক অ্য়াম্বুল্য়ান্সচালক ৷ সেই টাকা জোগাড় হয়নি ৷ তাই উত্তরপ্রদেশের একটি স্বেচ্ছসেবী সংগঠন আলিগড়েই বুলবুলির অন্ত্যেষ্টি সারে ৷ ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে তার সাক্ষী থাকেন দীপিলিকা ও চন্দন ৷

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো কলে মায়ের শেষকৃত্যের সাক্ষী থাকলেন গর্ভবতী মেয়ে

মৃতার মেয়ে ও জামাইয়ের দাবি, তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যাননি মোটেই ৷ কারণ, তাঁদের কাছে খবর রয়েছে, বুলবুলির দেহ নাকি একটি মাঠের মধ্যে পড়ে ছিল ! দীপিলিকা সরাসরি অভিযোগ করেন, তাঁর মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ৷ এর জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকেই দায়ী করেছেন তিনি ৷ এমনকী, এর আগেও ওই ঠিকাদারের সঙ্গে বুলবুলির ঝামেলা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে ৷ ওই ব্যক্তির কাছে বুলবুলির প্রায় 20 হাজার টাকা বকেয়া পড়ে ছিল বলেও দাবি করেছেন তাঁর মেয়ে ও জামাই ৷ তাঁদের আশঙ্কা, বকেয়া টাকা নিয়ে ঝামেলার জেরেই বুলবুলিকে খুন করা হতে পারে ৷

প্রশ্ন হল, তাহলে কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করছেন না দীপিলিকা ও তাঁর স্বামী ৷ জবাবে তাঁরা জানান, শীতলকুচি থানার পুলিশ নাকি তাঁদের অভিযোগে আমল দেয়নি ! উলটে বলেছে, অভিযোগ জানাতে হলে তাঁরা যেন উত্তরপ্রদেশে গিয়ে অভিযোগ জানান ! যা এই পরিবারের পক্ষে কার্যত অসম্ভব ৷ কারণ, দীপিলিকা বা চন্দনের অত টাকা নেই ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 12 বছর ধরে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন বুলবুলি ৷ মাঝমধ্যে আসতেন বাড়িতে ৷ তাঁর গর্ভবতী মেয়ের চিকিৎসার জন্য টাকা ছিল না ৷ সেই কারণেই দিন দশেক আগে ফের উত্তরপ্রদেশ যান বুলবুলি ৷ বলে গিয়েছিলেন, ঠিকাদারের কাছ থেকে বকেয়া 20 হাজার টাকা আদায় করে বাড়িতে পাঠাবেন ৷ কিন্তু, সেটা আর হল না ৷

এই বিষয়ে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মৃতার পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ অবশ্যই পদক্ষেপ করবে ৷

কোচবিহার, 23 নভেম্বর: ভিনরাজ্যের ঠিকাদারের কাছে 20 হাজার টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে ! এদিকে, মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ৷ এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) কাজ করতে গিয়েছিলেন কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচির বাসিন্দা বুলবুলি বর্মন ৷ কিন্তু, সেখান থেকে আর ফেরা হল না প্রৌঢ়ার ৷ সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, অসুস্থ হয়ে আলিগড়ের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বুলবুলি ৷ পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ কিন্তু, পরিবারের আশঙ্কা, খুন করা হয়েছে বাংলার এই পরিযায়ী শ্রমিককে (Migrant Labourer Death) ৷

বুলবুলির মেয়ে দীপিলিকা বর্ম ও জামাই চন্দন বর্মন জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ থেকে কোচবিহারের বাড়িতে তাঁর দেহ আনতে 50 হাজার টাকা চেয়েছিলেন এক অ্য়াম্বুল্য়ান্সচালক ৷ সেই টাকা জোগাড় হয়নি ৷ তাই উত্তরপ্রদেশের একটি স্বেচ্ছসেবী সংগঠন আলিগড়েই বুলবুলির অন্ত্যেষ্টি সারে ৷ ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে তার সাক্ষী থাকেন দীপিলিকা ও চন্দন ৷

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো কলে মায়ের শেষকৃত্যের সাক্ষী থাকলেন গর্ভবতী মেয়ে

মৃতার মেয়ে ও জামাইয়ের দাবি, তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যাননি মোটেই ৷ কারণ, তাঁদের কাছে খবর রয়েছে, বুলবুলির দেহ নাকি একটি মাঠের মধ্যে পড়ে ছিল ! দীপিলিকা সরাসরি অভিযোগ করেন, তাঁর মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ৷ এর জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকেই দায়ী করেছেন তিনি ৷ এমনকী, এর আগেও ওই ঠিকাদারের সঙ্গে বুলবুলির ঝামেলা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে ৷ ওই ব্যক্তির কাছে বুলবুলির প্রায় 20 হাজার টাকা বকেয়া পড়ে ছিল বলেও দাবি করেছেন তাঁর মেয়ে ও জামাই ৷ তাঁদের আশঙ্কা, বকেয়া টাকা নিয়ে ঝামেলার জেরেই বুলবুলিকে খুন করা হতে পারে ৷

প্রশ্ন হল, তাহলে কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করছেন না দীপিলিকা ও তাঁর স্বামী ৷ জবাবে তাঁরা জানান, শীতলকুচি থানার পুলিশ নাকি তাঁদের অভিযোগে আমল দেয়নি ! উলটে বলেছে, অভিযোগ জানাতে হলে তাঁরা যেন উত্তরপ্রদেশে গিয়ে অভিযোগ জানান ! যা এই পরিবারের পক্ষে কার্যত অসম্ভব ৷ কারণ, দীপিলিকা বা চন্দনের অত টাকা নেই ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 12 বছর ধরে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন বুলবুলি ৷ মাঝমধ্যে আসতেন বাড়িতে ৷ তাঁর গর্ভবতী মেয়ের চিকিৎসার জন্য টাকা ছিল না ৷ সেই কারণেই দিন দশেক আগে ফের উত্তরপ্রদেশ যান বুলবুলি ৷ বলে গিয়েছিলেন, ঠিকাদারের কাছ থেকে বকেয়া 20 হাজার টাকা আদায় করে বাড়িতে পাঠাবেন ৷ কিন্তু, সেটা আর হল না ৷

এই বিষয়ে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মৃতার পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ অবশ্যই পদক্ষেপ করবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.