ETV Bharat / state

কোরোনামুক্তের পরিবারকে বাজারহাট করতে বাধা, হেনস্থার অভিযোগ

এক পরিযায়ী শ্রমিক কোরোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক মাস আগে ৷ কিন্তু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার এক মাস পরেও তাঁকে বা তাঁর বাড়ির সদস্যদের বাজারহাট করতে বাধা পেতে হচ্ছে ৷ এলাকার মানুষেরা কোরোনা সংক্রমণের ভয় থেকে তাঁদের এড়িয়ে চলতে চাইছে ৷ একপ্রকার সামাজিক বয়কটের শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের ৷ কোচবিহার জেলার দিনহাটা-1 ব্লকের আটিয়াবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে ৷

socially boycott migrant workers
কোরোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েও মিলছে সামাজিক বয়কট
author img

By

Published : Jun 17, 2020, 8:15 AM IST

Updated : Jun 17, 2020, 8:26 AM IST

কোচবিহার, 16 জুন : কোরোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় একমাস আগে ৷ চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে এখন বাড়ি ফিরে এসেছেন এক পরিযায়ী শ্রমিক ৷ কিন্তু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরেও বাজারহাট করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের। কোচবিহার জেলার দিনহাটা-1 ব্লকের আটিয়াবাড়ি গ্রামে এমনই অভিযোগ করেছে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের হাট-বাজারে ঢুকতে যেমন বাধা দেওয়া হচ্ছে, তেমনই ব‍্যাঙ্কে গেলেও কটূক্তি শুনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। সামাজিক ভাবে তাঁদের বয়কট করা হচ্ছে ৷ এই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।


দিনহাটার আটিয়াবাড়ি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা মহারাষ্ট্রে কাপড়ের মিলে কাজ করতে যান । লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে দিনহাটা ফিরে আসেন তাঁরা। এরপর তাঁদের কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হয়। সেখানে নমুনা প‍রীক্ষার পর গোবিন্দ মহন্ত নামে এক পরিযায়ী শ্রমিকের কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে। এরপর তাঁকে শিলিগুড়িতে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বাড়ির এলাকা কনটেইনমেন্ট জ়োনে পরিণত হয়। দিনকয়েক পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।

পরিযায়ী শ্রমিক

সেই ঘটনার একমাস হতে চলল । অথচ এখনও গোবিন্দ মহন্ত ও তাঁর পরিবারকে নানা ভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। হাটে বাজার করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সাইকেল খারাপ হলে মেকার সাইকেল ঠিক করে দিচ্ছে না। গ্রামে অবাধে চলাফেরা করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক গোবিন্দ মহন্ত বলেন, " সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর প্রশাসন বলেছিল, 14 দিন বাড়িতে থাকার প‍র স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারব। একমাস হতে চলল, আমি বের হই না। কিন্তু আমার পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তাই প্রশাসন আবার ঘোষণা করুক আমি সুস্থ আছি।" এবিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শর্মিষ্ঠা সরকার বলেন, "খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। এমনটা হওয়া ঠিক নয়। দিনহাটা-1 ব্লকের BDO সৌভিক চন্দ বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখব "।


কোচবিহার, 16 জুন : কোরোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় একমাস আগে ৷ চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে এখন বাড়ি ফিরে এসেছেন এক পরিযায়ী শ্রমিক ৷ কিন্তু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পরেও বাজারহাট করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের। কোচবিহার জেলার দিনহাটা-1 ব্লকের আটিয়াবাড়ি গ্রামে এমনই অভিযোগ করেছে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের হাট-বাজারে ঢুকতে যেমন বাধা দেওয়া হচ্ছে, তেমনই ব‍্যাঙ্কে গেলেও কটূক্তি শুনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। সামাজিক ভাবে তাঁদের বয়কট করা হচ্ছে ৷ এই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।


দিনহাটার আটিয়াবাড়ি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা মহারাষ্ট্রে কাপড়ের মিলে কাজ করতে যান । লকডাউনের জেরে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে দিনহাটা ফিরে আসেন তাঁরা। এরপর তাঁদের কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখা হয়। সেখানে নমুনা প‍রীক্ষার পর গোবিন্দ মহন্ত নামে এক পরিযায়ী শ্রমিকের কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে। এরপর তাঁকে শিলিগুড়িতে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর বাড়ির এলাকা কনটেইনমেন্ট জ়োনে পরিণত হয়। দিনকয়েক পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।

পরিযায়ী শ্রমিক

সেই ঘটনার একমাস হতে চলল । অথচ এখনও গোবিন্দ মহন্ত ও তাঁর পরিবারকে নানা ভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। হাটে বাজার করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সাইকেল খারাপ হলে মেকার সাইকেল ঠিক করে দিচ্ছে না। গ্রামে অবাধে চলাফেরা করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক গোবিন্দ মহন্ত বলেন, " সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর প্রশাসন বলেছিল, 14 দিন বাড়িতে থাকার প‍র স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারব। একমাস হতে চলল, আমি বের হই না। কিন্তু আমার পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করা হচ্ছে। তাই প্রশাসন আবার ঘোষণা করুক আমি সুস্থ আছি।" এবিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শর্মিষ্ঠা সরকার বলেন, "খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। এমনটা হওয়া ঠিক নয়। দিনহাটা-1 ব্লকের BDO সৌভিক চন্দ বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখব "।


Last Updated : Jun 17, 2020, 8:26 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.