পুণ্ডিবাড়ি, 13 ডিসেম্বর: রথযাত্রা কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ায় কোচবিহার 2 নম্বর ব্লকের পুণ্ডিবাড়িতে পথ অবরোধ করল বিজেপি ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বিজেপি নেতা-কর্মীরা যখন মিছিল করে থানায় বিক্ষোভ দেখাতে যান, সেই সময় পথে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে দু'পক্ষ মুখোমুখি হয় ৷ এর ফলে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় ৷ তবে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকায় বড় কোনও গণ্ডগোল হয়নি ৷
পরে অবশ্য পুণ্ডিবাড়ি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা-কর্মীরা ৷ এই ঘটনার জেরে কোচবিহার-মাথাভাঙা এবং কোচবিহার-সোনাপুর রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ৷ কোচবিহারে বিজেপির জেলা সভাপতি বিধায়ক সুকুমার রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধে সাধারণ মানুষের পাওয়ার কথা ৷ সেগুলি তারা পাচ্ছে কি না, সে সব জানানোর জন্যই রথযাত্রা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল ৷ পুলিশ তৃণমূলের দলদাস ৷ তারা অনুমতি দেয়নি ৷ এবং আজ তৃণমূলের সঙ্গে একজোট হয়ে বাধার সৃষ্টি করে ৷ আমরা এই রথ বের করবই ৷ জেলার প্রতিটি অঞ্চলে অঞ্চলে এই রথ ঘুরবে ৷"
অন্যদিকে, তৃণমূলের কোচবিহার-2 নম্বরের ব্লক সভাপতি সজল সরকার বলেন, "বাংলার মানুষ 100 দিনের কাজ করার পরেও টাকা পাচ্ছে না ৷ আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছে না ৷ আর বিজেপি রথযাত্রা বের করে ভোটের আগে মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছে ৷ তাই প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে ৷"
গত সোমবার থেকেই বিজেপির রথযাত্রা বাতিল করার জন্য তৃণমূল বিরোধিতা করে বলে অভিযোগ ৷ ওইদিন দুপুরে হঠাৎ রাস্তার উপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ৷ এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় ৷ পাশাপাশি আরও অভিযোগ, সোমবার দুপুরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পোস্টারে কালি ছেটান একদল তৃণমূল কর্মী ৷
নিউ কোচবিহার এলাকায় পুলিশের সামনেই বিজেপির রথযাত্রা উপলক্ষে যে গাড়ি সাজানো হয়েছিল, সেখানে থাকা প্রধানমন্ত্রীর পোস্টারে কালি ছেটানো হয় ৷ যদিও সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয় ৷ এরপর ওইদিন কর্মসূচি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর আজ কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু এ দিন ফের গণ্ডগোল দেখা দেওয়ায় বিজেপি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় ৷
আরও পড়ুন: