কোচবিহার, 2 জানুযারি: পঞ্চায়েতে বাধা দিতে এলে পালটা মার দেওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির (BJP MLA warning to Trinamool) । সোমবার বিজেপির এক কর্মসূচির আয়োজন ককা হয়েছিল ৷ সেই কর্মসূচিতেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি ও বিধায়ক সুকুমার রায়-সহ অন্যান্য কর্ম কর্তারা ( panchayat elections in Cooch Behar) ৷ এই বৈঠকে তৃণমূলকে পালটা মারের হুঁশিয়ারি দেন তিনি ৷ পাশাপাশি তিনি জানান, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু প্রার্থী দেওয়াই নয় কোচবিহার জেলার বহু গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করবে বিজেপি ।
আরও পড়ুন : কোচবিহারে দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার
প্রসঙ্গত, গত 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার একাধিক আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি (Cooch behar Elections)। যেসব জায়গায় প্রার্থী দিয়েছিল তার মধ্যে মাথাভাঙা মহকুমার লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করলেও, পরবর্তীতে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে যায় ৷ তাছাড়া জেলার প্রায় সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদ দখল করে বিজেপি । এরপর গত 5 বছর অনেক জল গড়িয়েছে । লোকসভা নির্বাচনে জিতেছে বিজেপি । সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী ।
গত 2019 সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার 6টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছেন । জেলার বিভিন্ন গ্রামে সংগঠন মজবুত করেছেন । সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন । সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখে যাতে কোথাও কোনও ঘাটতি না থাকে, তাই মিটিং করছেন অঞ্চলে অঞ্চলে । এলাকার বিধায়ক থেকে জেলা নেতারা সেই মিটিংগুলোতে উপস্থিত থাকছেন । সেসব নিয়ে পর্যালোচনা করতেই এদিন বিজেপির কোচবিহার জেলা কার্যালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ।
আরও পড়ুন : বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিপত্তি, ফের বোমার আঘাতে জখম বালক
সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি বিধায়ক সুকুমার রায়, বিধায়ক মালতি রাভা, বিধায়ক মিহির গোস্বামী প্রমুখ । সেই বৈঠক শেষে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, "এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু বিজেপি প্রার্থী দেবে না বহু আসনে জিতবেও ৷ যদি তৃণমূল বাধা দিতে চায়, তাহলে তাদের পালটা মার দেওয়া হবে ৷" বলে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি'র বিধায়কের বক্তব্য এর পরিপ্রেক্ষিতে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, "যে দলের মন্ত্রী সোনার ডাকাতির মামলায় জড়িত । সেই দলের সভাপতি মারের কথাতো বলবেই ।"