কোচবিহার, 6 জানুয়ারি : একমাস ধরে কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক ভূষণ সিং । অবশেষে কোচবিহার শহর ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি করা হল তাঁকে । তৃণমূলের কোচবিহার জেলা কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকে আজ একথা ঘোষণা করা হয় । যদিও সহ-সভাপতির দায়িত্ব নেবেন না বলে জানিয়েছেন ভূষণ সিং ।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত বছরের 15 ডিসেম্বর । কোচবিহার রাসমেলা মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চে জায়গা না পেয়ে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ভূষণ সিং । বলেছিলেন, "এভাবে চললে দল বেশিদিন এগোতে পারবে না । যাদের মূল মঞ্চে থাকার কথা নয় তাঁরা মূল মঞ্চে ছিল । আমার মূল মঞ্চে থাকার কথা অথচ আমাকে রাখা হয়নি ৷"
আর এই ঘটনার পর থেকে একাধিকবার প্রকাশ্যে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ভূষণ সিং । এরপর তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পেয়েও দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন তিনি । বলেছিলেন, "আমার দুর্ভাগ্য যে সেখানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ।"
এদিকে দলের বিরুদ্ধে বারবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করার পরও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । বরং আজ তাঁকে কোচবিহার শহর ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । আর এই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি মানভাঙানোর জন্যই এই পদ দেওয়া হল তাঁকে ? যদিও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ।
যদিও সহ-সভাপতির দায়িত্ব নিতে রাজি নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ভূষণবাবু । বলেন, "শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূলের যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সেই কমিটিতে এমন কিছু লোক রয়েছে যার সঙ্গে আমার মতের মিল হয় না । আমাকে কাজ করতে হলে আমার টিম নিয়ে কাজ করতে হবে । ওর পছন্দমতো টিম করলে আমি চলতে পারব না । সেগুলি যদি ঠিক না করে তাহলে আমি ইস্তফা দিয়ে সেই পদ থেকে সরে যাব । কারণ কাজ করার জন্য আমার নিজের লোকের প্রয়োজন । এভাবে কাজ করা যাবে না ।"