কোচবিহার, 19 নভেম্বর : দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে 12 ঘণ্টার বনধ পালন করছে BJP । আজ সকাল থেকেই এলাকায় দোকানপাট বন্ধ । রাস্তায় যানবাহনও চলাচল করছে না বললেই চলে । বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন BJP নেতা-কর্মীরা । জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ৷ এছাড়া একাধিক জায়গায় জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ বনধ সমর্থকদের সরিয়ে দিতে দেখা যায় পুলিশকর্মীদের ৷
তুফানগঞ্জ মহকুমার নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একই পাড়ায় দু'টি কালীপুজোর আয়োজনকে কেন্দ্র করে গতকাল সকালে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয় । মৃত্যু হয় BJP নেতা কালাচাঁদ কর্মকারের । এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ 12 ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে BJP-র কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব ।
ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি কালীপুজো হত । গত বছর থেকে আরও একটি কালীপুজো শুরু হয়েছে । আর একই পাড়ায় দু'টি পুজো নিয়েই শুরু গন্ডগোল ৷ দীপাবলির রাত থেকেই শুরু হয় ঝামেলা ৷ এরপর নিরঞ্জনের সময় দু'পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয় । পরদিন সকালে এক গোষ্ঠীর এক যুবককে অন্য গোষ্ঠীর কয়েকজন মারধর করতে শুরু করে ৷ সেই সময় BJP সম্পাদক কালাচাঁদ কর্মকার এগিয়ে যান । অভিযোগ, তখন তাঁকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় । গুরুতর জখম হন ওই BJP নেতা । তাঁকে উদ্ধার করে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ।
এরপর তুফানগঞ্জের চামটা মোড়ে জাতীয় সড়কে মৃত BJP নেতার মৃতদেহ রেখে অবরোধ করেন কর্মী-সমর্থকরা । পরে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
কোচবিহারের জেলা সভাপতি মালতি রাভা অভিযোগ করেন, ‘‘যেভাবে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে BJP নেতা কালাচাঁদ কর্মকারকে খুন করেছে তা কখনই মেনে নেওয়া যায় না ।" যদিও খুনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায় ।