ETV Bharat / state

মোটা মজুরির প্রলোভন, ভুটানে আটক 6 শ্রমিক; চম্পট ঠিকাদারের - migrant labour

বেশি মজুরির লোভ দেখিয়ে ভুটানে কাজ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ এরপর থেকে সে দেশেই আটকে ছয় শ্রমিক ৷ এক বছরের চুক্তির টাকা অগ্রিম নিয়ে চম্পট ঠিকাদার ৷ হতাশায় দিন কাটছে শ্রমিকদের পরিবার-পরিজন ।

Family of 6 workers trapped in Bhutan
ভুটানে আটকে বাংলার 6 শ্রমিকের পরিবার
author img

By

Published : Jan 27, 2020, 10:11 AM IST

Updated : Jan 27, 2020, 11:05 PM IST

কোচবিহার, 27 জানুয়ারি : নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে হঠাৎ মোটা টাকা আয়ের প্রলোভন । আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে নিখোঁজ 6 জন । ভিনদেশে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছেন 6 শ্রমিক । কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের সারোহাটি গ্রামের ঘটনা ।

ভুটানে দৈনিক 1500 টাকার মজুরির প্রলোভন দেখিয়েছিল আইজল হক নামে এক ঠিকাদার । গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রঘুনাথ রায় (33), শ্রীনাথ রায় (33), ধনঞ্জয় রায় (27), রঞ্জিত রায় (31), কল্যাণ রায় (24), কৃষ্ণচন্দ্র রায় (27) ভুটানে যায় ।

পরিবারসূত্রে জানা যায়, গত মাসের 20 তারিখ থেকে শ্রমিকরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন । ভুটানের এক সংস্থা তাদের সঙ্গে নাকি 1 বছরের চুক্তি করেছে, আইজল হক জানিয়েছিল । চুক্তির ভিত্তিতেই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে পারবে না ৷ শ্রমিকদের পরিবারের দাবি, ওঁদের আটকে রাখা হয়েছে । ওখানকার কয়েকজন আমাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না । ঠিকাদার আইজল হকও চম্পট দিয়েছে ।

গত 20 ডিসেম্বর, এক জন শ্রমিক তাঁর পরিবারে জানিয়েছিলেন, ''এখানে খেতে দিচ্ছে না । বাড়িও ফিরতে দিচ্ছে না । টাকা-পয়সাও দিচ্ছে না ৷ শারীরিক অত্যাচারও চালাচ্ছে ।

ভুটানে আটকে বাংলার 6 শ্রমিক, দিশেহারা পরিবার...

অভিযোগ উঠছে, ঠিকাদার আইজল একবছরের চুক্তির টাকা ভুটানের ওই সংস্থার কাছ থেকে অগ্রিম নিয়ে চম্পট দিয়েছে । রঘুনাথ রায়ের স্ত্রী মিনতি রায়, ধনঞ্জয় রায়ের স্ত্রী সংগীতা রায় বলেন, ''আইজলের বাড়ি ধুপগুড়ি এলাকায় । অতিরিক্ত দৈনিক মজুরির প্রলোভন দেখিয়ে আমার স্বামীকে ভুটানে নিয়ে গেছে । প্রথম প্রথম ফোনে কথা হচ্ছিল আমাদের সঙ্গে । গত 1 মাস ধরে আর কথা হচ্ছে না । খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি । কবে বাড়ি ফিরে আসবে জানি না।''

হতাশায় দিন কাটছে 6 শ্রমিকের পরিবারের ৷ প্রশাসনের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা ৷ মেখলিগঞ্জের BDO ইউডেন ভুটিয়াকে ব্যাপারটি জানানো হয়েছে । তিনি জানিয়েছেন, "পরিবারের কাছে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে ।" এছাড়া মহকুমাশাসক রামকুমার তামাঙ জানান, মৌখিকভাবে খবর পেয়েছি । পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে ভুটান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে ।''

কোচবিহার, 27 জানুয়ারি : নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে হঠাৎ মোটা টাকা আয়ের প্রলোভন । আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে নিখোঁজ 6 জন । ভিনদেশে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছেন 6 শ্রমিক । কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের সারোহাটি গ্রামের ঘটনা ।

ভুটানে দৈনিক 1500 টাকার মজুরির প্রলোভন দেখিয়েছিল আইজল হক নামে এক ঠিকাদার । গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রঘুনাথ রায় (33), শ্রীনাথ রায় (33), ধনঞ্জয় রায় (27), রঞ্জিত রায় (31), কল্যাণ রায় (24), কৃষ্ণচন্দ্র রায় (27) ভুটানে যায় ।

পরিবারসূত্রে জানা যায়, গত মাসের 20 তারিখ থেকে শ্রমিকরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন । ভুটানের এক সংস্থা তাদের সঙ্গে নাকি 1 বছরের চুক্তি করেছে, আইজল হক জানিয়েছিল । চুক্তির ভিত্তিতেই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে পারবে না ৷ শ্রমিকদের পরিবারের দাবি, ওঁদের আটকে রাখা হয়েছে । ওখানকার কয়েকজন আমাদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না । ঠিকাদার আইজল হকও চম্পট দিয়েছে ।

গত 20 ডিসেম্বর, এক জন শ্রমিক তাঁর পরিবারে জানিয়েছিলেন, ''এখানে খেতে দিচ্ছে না । বাড়িও ফিরতে দিচ্ছে না । টাকা-পয়সাও দিচ্ছে না ৷ শারীরিক অত্যাচারও চালাচ্ছে ।

ভুটানে আটকে বাংলার 6 শ্রমিক, দিশেহারা পরিবার...

অভিযোগ উঠছে, ঠিকাদার আইজল একবছরের চুক্তির টাকা ভুটানের ওই সংস্থার কাছ থেকে অগ্রিম নিয়ে চম্পট দিয়েছে । রঘুনাথ রায়ের স্ত্রী মিনতি রায়, ধনঞ্জয় রায়ের স্ত্রী সংগীতা রায় বলেন, ''আইজলের বাড়ি ধুপগুড়ি এলাকায় । অতিরিক্ত দৈনিক মজুরির প্রলোভন দেখিয়ে আমার স্বামীকে ভুটানে নিয়ে গেছে । প্রথম প্রথম ফোনে কথা হচ্ছিল আমাদের সঙ্গে । গত 1 মাস ধরে আর কথা হচ্ছে না । খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি । কবে বাড়ি ফিরে আসবে জানি না।''

হতাশায় দিন কাটছে 6 শ্রমিকের পরিবারের ৷ প্রশাসনের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা ৷ মেখলিগঞ্জের BDO ইউডেন ভুটিয়াকে ব্যাপারটি জানানো হয়েছে । তিনি জানিয়েছেন, "পরিবারের কাছে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে ।" এছাড়া মহকুমাশাসক রামকুমার তামাঙ জানান, মৌখিকভাবে খবর পেয়েছি । পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে ভুটান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে ।''

Intro:বেশি মজুরি লোভ দেখিয়ে ভুটানে কাজ করতে গিয়ে আটক ছয় শ্রমিক৷একবছরের চুক্তি টাকা নিয়ে চম্পট ঠিকাদার৷


কোচবিহার :২৫ জানুয়ারি :

ভুটানে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ ছয় শ্রমিক৷ছয় শ্রমিককে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ রাজমিস্ত্রীর কাজে ভুটানে কাজ করতে যায় ওই ছয়জন শ্রমিক৷এক নির্মান কাজের ঠিকাদার তাদের মাসে দৈনিক ১৫০০ টাকা মজুরির লোভ দেখিয়ে গত ডিসেম্বর মাসে ১ তারিখ ভুটানে শ্রমিকের কাজে নিয়ে যায়৷কিন্তু ডিসেম্বর মাসে ২০ তারিখ থেকে ওই শ্রমিকদের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়৷ ঠিকাদারের কাছে তারা জানতে চাইলে জানতে পারে বাড়ি ফিরতে পারবে না ওই শ্রমিকরা ,সেরকম ভাবে এক বছরের চুক্তি হয়েছে ভুটানের এক সংস্থায় সঙ্গে৷ভুটানে কাজে গিয়ে নিখোঁজ ছয় শ্রমিকের পরিবারে আতঙ্ক৷বাড়ি কবে ফিরবে,তা নিয়েই দুশ্চিন্তা শ্রমিকদের পরিবারে৷পরিবার সুত্রে জানা গেছে "ছয় শ্রমিককে আটকে রেখা হয়েছে ,মোবাইলে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে না, ওখানকার কিছু ব্যক্তি৷ঠিকাদারও চম্পট দিয়েছে৷ গত ২০ ডিসেম্বর শ্রমিকদের মধ্যে একজন মোবাইলে জানায় "টাকা পয়সা নেই ,তাদের খেতে দিচ্ছে না ,বাড়ি ফিরতে দিচ্ছে না৷আবার ,শারীরিক অত্যাচারও করছে ৷

কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের রানীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের সারোহাটি গ্রামের ঘটনা৷ছয় শ্রমিকরা হলেন রঘুনাথ রায় (৩৩),সিনাথ রায়(৩৩) ,ধনঞ্জয় রায় (২৭),রঞ্জিত রায় (৩১),কল্যাণ রায়(২৪) ,কৃষ্ণচন্দ্র রায় (২৭)৷

সুত্রে জানা গেছে "ওই ছয় শ্রমিককে এক বছরের চুক্তিতে ভুটানে নিয়ে যায় এক ঠিকাদার ,অভিযুক্ত ওই ঠিকাদারের নাম আই নুল হক ৷ তাদের দৈনিক ১৫০০ করে মজুরি মিলবে বলে প্রতিশ্রতিদেয়৷কিন্তু ,সেখানে গিয়ে তাদের আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ৷এমনকি বাড়ি ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না ৷

অভিযোগ উঠছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরূদ্ধে ,অভিযোগ ,ঠিকাদার এক বছরের চুক্তির টাকা ভুটানের এক সংস্থার কাছে অগ্রিম নিয়ে চম্পটদেন বলে জানা যায় ৷এরপর ,ওই শ্রমিকদের জোড়করে আটকে রাখা হয়েছে ভুটানে ৷

শ্রমিকদের মধ্যে রঘুনাথ রায় এর স্ত্রী মিনতি রায়,ধনঞ্জয় রায় এর স্ত্রী সংগীতা রায় জানান "ধুপগুড়ি এলাকার নির্মাণ কাজের ঠিকাদার আইনুল হক তাদের দৈনিক বেশি টাকার মজুরির লোভ দেখিয়ে তাদের স্বামিকে ভুটানে নিয়ে যায় ,কিন্তু এখন এক মাস ধরে কোন খোঁজ মিলছে না ,তাদের আটকে রাখা হয়েছে ৷পরিবার নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ৷কবে বাড়ি ফিরবে তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন৷

কাজের খোঁজে ছেলেকে ভিনদেশে পাঠিয়ে ছেলে বাড়ি না আসায় আতঙ্কে বাকরুধ্ব রঘুনাথ রায়ে মা৷ একই ভাবে হতাশায় ছয় শ্রমিকের পরিবার৷ তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবী জানিয়েছেন ৷
ঐ বিষয়ে রানীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ফুলেশ্বর রায় জানান "ওই ছয় শ্রমিকের পরিবারের বিষয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷

মেখলিগঞ্জ বিডিও সাঙ্গে ইউডেন ভুটিয়া জানান "খোঁজ নিচ্ছি ওই শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে৷ "

মহকুমা শাসক রামকুমার তামাঙ জানান "মৌখিকভাবে শুনেছি ,পরিবারদের পক্ষ থেকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে ভুটান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে ৷Body:COBConclusion:প্রশাসনের তরফে শ্রমিক পরিবারে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান হয়েছে
Last Updated : Jan 27, 2020, 11:05 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.