কলকাতা, 23 মে : মেদিনীপুর কেন্দ্রে জয়ী BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । সারাদেশের সঙ্গে আজ রাজ্যেও ঘাসফুলের বদলে অনেকগুলি আসনেই ফুটেছে পদ্ম ।
গেরুয়া শিবিরের এই জয় সম্পর্কে দিলীপবাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন," গত তিনবছর ধরে প্ল্যানিং করে এগিয়েছিলাম । কর্মীরা কাজ করেছেন, মার খেয়েছেন, কেস খেয়েছেন, অত্যাচার সহ্য করেছেন । কিন্তু তারপরও ময়দান ছাড়েননি । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মারামারি সত্ত্বেও আমরা লড়েছি । যেটা দেখে পশ্চিম বাংলার মানুষের মনে হয়েছে BJP-র হাত ধরে পরিবর্তন হতে পারে, উন্নয়ন হতে পারে । তাই লোকে ভরপুর ভোট দিয়ে আমাদের আশীর্বাদ করেছেন । তার পরিণাম আমি মেদিনীপুরে জিতেছি ।" সেইসঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যে 20-র বেশি আসন আশা করেছিলেন, তবে সেটা হচ্ছে না বলে কোথাও কিছুটা মন খারাপও রয়েছে ।
কিন্তু রাজ্যে এই সাফল্যের পিছনে রহস্য কী ?
দিলীপবাবুর বলেন, "সাফল্য শুধু এখানে আসেনি । একাধিক রাজ্যে আমরা জিতেছি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সর্বভারতীয় সভাপতি ও বাংলার 42 লাখ কর্মী সবাই লড়াই করেছেন । " সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, রাজ্যে শুধু BJP নেতা-কর্মী-সমর্থকরাই নন, অন্যান্য দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরাও তৃণমূলকে হারানোর জন্য BJP-কে ভোট দিয়েছেন ।
রাজ্য সরকারকে চাপে রাখতে আগামীদিনে কী পরিকল্পনা ?
দিলীপবাবু জানান, পরিকল্পনার প্রয়োজন নেই । সরকার ইতিমধ্যেই চাপে পড়ে গেছেন । সাধারণ মানুষের চাপেই সরকার ভেঙে যাবে ।
মমতা ব্যানার্জির উদ্দেশে আপনার বার্তা কী ?
দিলীপবাবু বলেন, "অত্যাধিক অহঙ্কার ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য আজ বাংলার দুর্দশা, তৃণমূলের দুর্দশা । আজ মানুষ বাধ্য হয়েছে রাস্তায় নেমে বোমা-বন্দুক উপেক্ষা করে ভোট দিয়ে পরিবর্তন করতে ।" তিনি আরও জানান, মমতা ব্যানার্জির সামনে এখন 'শ্যাম রাখি না কূল রাখি' পরিস্থিতি ।
আপনি কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন ?
দিলীপবাবু বলেন, "আমার কোনও মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা নেই । বাংলায় পরিবর্তন করার ইচ্ছা আছে । "
অ-BJP জোটের পরাজয় সম্পর্কে কী বলবেন?
দিলীপবাবু বলেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ আগেই বলেছিলেন এই ঠকবন্ধন টিকবে না ।"
বিধানসভা নির্বাচন কি এগিয়ে আনার কথা কিছু ভাবছেন ?
দিলীপবাবু বলেন, "আমরা দেখছি গতি-প্রকৃতি কোন দিকে যায় । কেন্দ্রে আগে সরকার গঠন করি ।"
অনেক বিধায়ক লাইনে আছেন । তাঁদের সংখ্যা কি আরও বাড়বে ? তাঁদের উদ্দেশে কী বার্তা?
হাসি মুখে দিলীপবাবু বলেন, "অনেক লোক লাইনে আছেন । বিধায়ক, সাংসদ, পঞ্চায়েত সদস্য, মিউনিসিপ্যালিটি চেয়ারম্যান, মেয়র । দেখতে থাকুন, গুনতে থাকুন । আমরা ছোট পরিবারে বিশ্বাস করি না । বড় পরিবার, সুখী পরিবার। " সেইসঙ্গে বিধায়কদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, জনগণ খবর দিয়েছে ঘর ছেড়ে দাও ।