কলকাতা, 13 এপ্রিল : চাকরি ১০ বছর হয়নি সেই জন্য পেনশন পাচ্ছিলেন না এক সরকারি কর্মচারী। হাইকোর্টের নির্দেশ, আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে সেই ব্যক্তিকে নোশানাল বেনিফিট (বিশেষ সুবিধা) দিয়ে পেনশন দিতে হবে।
মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা থানার পার্টিকাবাড়ি হাই সেকেন্ডারি স্কুলে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চাকরি করতেন রেজাউল হক। ১৯৭৯ সালে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সেক্রেটারি তাঁকে নিযুক্ত করেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তাঁকে সরকারি ভাবে অস্বীকৃত কর্মচারী থেকে স্বীকৃত কর্মচারী করা হয়নি দীর্ঘদিন। এই পরিস্থিতিতে ২০০৩ সালে তিনি হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। এবং সেই মামলায় হাইকোর্ট ডিরেক্টর অফ স্কুল এডুকেশনকে অবিলম্বে স্বীকৃত কর্মচারী হিসেবে রেজাউলকে মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ২০০৩ সালে তিনি স্বীকৃতি পান। ২০১১ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এবার সমস্যা দেখা দেয় অন্য জায়গায়। সরকার তাঁকে পেনশন দিচ্ছিল না। কারণ পেনশন পেতে গেলে একজন সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ অন্তত ১০ বছর হতে হয়। কিন্তু সরকারি খাতায় রেজাউল হকের চাকরির মেয়াদ মাত্র ৮ বছর ২ মাস। বাধ্য হয়ে গত বছর মার্চ মাসে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন।
মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী ইব্রাহিম শেখ সুপ্রিমকোর্টের একাধিক রায় তুলে ধরে দেখান চাকরির মেয়াদ ১০ বছর না হলেও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্ট পেনশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শম্পা সরকার সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর শিক্ষা দপ্তরের কমিশনারকে, রেজাউলকে নোশানাল বেনিফিট দিয়ে আগামী ৬ সপ্তাহে মধ্যে পেনশন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
রায়ের ব্যাপারে রেজাউলের আইনজীবী ইব্রাহিম শেখ বলেন, "যেহেতু আমার মক্কেল দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলে পরিষেবা দিয়ে আসছিলেন সেই জন্যই তাঁকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে পেনশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মহামান্য আদালত।"