কলকাতা, 14 জুন : জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে বেশিরভাগ সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের গেটে তালা । বন্ধ বহির্বিভাগ । মৃত্য়ুপথযাত্রী যুবককে নিয়ে একের পর এক হাসপাতালের দরজায় দরজায় হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়েছে পরিজনদের । কিন্তু মেলেনি পরিষেবা । পাঁচটি হাসপাতালের চক্কর কাটার পর শেষে SSKM-এ নিয়ে আসা হলে সেখানেও স্যালাইন দিয়ে শম্ভুনাথ পণ্ডিতে রেফার করা হয় । কিন্তু শম্ভুনাথ পণ্ডিতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও হাসপাতালের হাউজ় স্টাফরা কর্মবিরতি শুরু করেন । ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায় । শেষমেশ রোগীর পরিজনদের কাতর আর্তি শুনে হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট সৌমাভ দত্ত ব্যবস্থা নেন । চিকিৎসা শুরু হয় রোগীর ।
গতকাল সকাল 10টা নাগাদ অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন কলকাতার বাগমারির অরিন্দম বোস । তারপর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে । এদিকে NRS ইশুতে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে বন্ধ চিকিৎসা পরিষেবা । এই পরিস্থিতিতে অসুস্থ ওই যুবককে নিয়ে হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয় পরিজনদের । SSKM হাসপাতালে যখন ওই রোগী নিয়ে পৌঁছায় পরিজনরা তখনই সবে মাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়েছেন । তাই দ্রুত রোগীকে সেখানে জরুরি বিভাগে স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় । সেইসঙ্গে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে রেফার করা হয় । শম্ভুনাথ পণ্ডিতে নিয়ে যাওয়া হলে দেখা যায় সেখানেও হাউজ় স্টাফরা কর্মবিরতি শুরু করে দিয়েছেন । এরপরই হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট সৌমাভ দত্তের কাছে পরিবারের কাতর আর্জি, "ছেলেকে বাঁচান ডাক্তারবাবু ।" সৌমাভ দত্ত শেষ পর্যন্ত রোগীর চিকিৎসা শুরু করেন । হাসপাতালের বক্তব্য, অরিন্দম অবসাদগ্রস্ত । হাসপাতালের সুপার সৌমাভ দত্ত জানিয়েছেন, রোগী তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে । আপাতত বিপন্মুক্ত । তবে আশঙ্কা রয়ে গেছে ।