কলকাতা, 17 এপ্রিল : চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন কলেজের গ্রুপ D কর্মচারীদের দেওয়া হয়েছে প্রিজ়াইডিং অফিসারের দায়িত্ব। এদিকে কলেজের অধ্যাপকদের দেওয়া হয়েছে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব। কিন্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় পরিষ্কার রয়েছে গ্রুপ A অফিসারদের পোলিংয়ের কাজে নিয়োগ করা যাবে না। এই অভিযোগে 7 এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন একাধিক কলেজের অধ্যাপকরা।
আজ বিচারপতি দেবাংশু বসাক দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর নির্বাচন কমিশনকে বলেন, "বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা কিছু করুন। যথাযথ পদক্ষেপ নিন।" পাশাপাশি 7 মের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাকারীদের আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিনহা রায় বলেন, "উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ কলেজ, রানিগঞ্জের ত্রিবেণী দেবী কলেজ, দুর্গাপুরের মাইকেল মধুসূদন মেমোরিয়াল কলেজ, আসানসোলের নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, পুরুলিয়ার সিধুকানু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও একাধিক কলেজে এই ঘটনা ঘটেছে।"
শীর্ষেন্দুবাবু আরও বলেন, "8 এপ্রিল মামলাটি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে উঠলে তিনি বলেছিলেন এই ঘটনা ঘটেছে, এরকম একটা নজির দেখান। সেই মতো আজকে আমরা একাধিক নমুনা আদালতে পেশ করেছি। আসানসোলের নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে দেওয়া হয়েছে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব, আর ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই গ্রুপ D কর্মচারী উৎপল মুর্মুকে দেওয়া হয়েছে প্রিজ়াইডিং অফিসারের দায়িত্ব। পুরুলিয়ার সিধুকানু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ D কর্মচারীকে দেওয়া হয়েছে প্রিজ়াইডিং অফিসারের দায়িত্ব।"
আজ মামলাটি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে উঠলে নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী বলেন, "আমরা যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি যাতে এই ঘটনা না ঘটে। দু'একটা ক্ষেত্রে ভুল হলেও হতে পারে।"এরপরই বিচারপতি নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেন।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই এই সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক মন্তব্য করেছিলেন, "আমাদের মতো গণতান্ত্রিক দেশে ভোটের কাজে দায়িত্ব পালন করা সম্মানের কাজ।"