কলকাতা, ১৪ মার্চ : রাজ্যের সমস্ত বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করতে হবে। গতকাল দিল্লির নির্বাচন কমিশনে দেখা করে এমন দাবি জানায় BJP। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরে এসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও একই দাবি জানিয়ে যান। কিন্তু রাজ্যের ভোট মেশিনারির তরফে এখনও পর্যন্ত যে রিপোর্ট কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে, তাতে বিরোধী দলগুলির এই দাবি নস্যাৎ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অপরদিকে জেলাগুলি থেকে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী জেলাতে এখনও পর্যন্ত স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মতোই রয়েছে।
তবে, চূড়ান্ত নয় এই রিপোর্ট। প্রত্যেক দফার ভোটের পাঁচদিন আগে পাওয়া যাবে চূড়ান্ত রিপোর্ট। তখনই সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হবে প্রত্যেকটি লোকসভা আসনের স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা কত। এখনও পর্যন্ত জেলাগুলির তরফে যে রিপোর্ট রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দপ্তর পেয়েছে তাতে বিরোধীদের দাবি পূরণ হওয়ার কথা নয়। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের সময় স্পর্শকাতর বুথ ৫০ শতাংশের কম ছিল। যা ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। এবার লোকসভা নির্বাচনের যা পরিস্থিতি তাতে এখনও পর্যন্ত সেই শতাংশ বাড়ার কোনও ইঙ্গিত নেই। জেলার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ভোট ঘোষণার আগে থেকেই যে পরিমাণ অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল ও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল তা এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দপ্তর সূত্রে এই খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগের পরিমাণ এখনও পর্যন্ত ২০১৪ সালের থেকে অনেকটাই কম বলে সূত্রের খবর।
তারপরও রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবিকে মান্যতা দিয়ে কমিশনের তরফে সমস্ত জেলার DM-কে সর্বদল বৈঠক করতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর একদফা সর্বদল বৈঠক সেরে নিয়েছেন সব জেলার জেলাশাসকই। প্রয়োজন হলে বিরোধী এবং শাসকদলের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে একক ভাবে বসতে হবে জেলাশাসককে। পাশাপাশি সর্বদল বৈঠকের মিনিটস রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে পাঠাতে হবে। এখন শুধু রাজ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার।