বোলপুর, 24 সেপ্টেম্বর: মানুষের চুলের অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিশ্বভারতীর মায়ানমারের ছাত্রটি । এমনই তথ্য উঠে এল আদালতে ৷ এ দিন বাকি ধৃত 9 জনকে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় । ধৃতরা জানান, ওই ছাত্র তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া 51 লক্ষ টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না ৷ ওই ছাত্র তাঁদের ব্যবসায়িক সঙ্গী বলে আদালতে জানান ধৃতরা । ধৃতদের 14 দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
21 সেপ্টেম্বর বোলপুরের ইন্দিরাপল্লির ভাড়া বাড়ি থেকে প্যানচারা থাই নামে বিশ্বভারতীর এক ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে ৷ মায়ানমারের বাসিন্দা এই ছাত্রটি বিশ্বভারতীতে বৌদ্ধ দর্শন নিয়ে গবেষণারত । তাই বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ ইমেল মারফৎ বোলপুর থানায় অপহরণের বিষয়টি জানায় । বোলপুর থেকে বিদেশি ছাত্র অপহরণে ঘুম উড়ে যায় বীরভূম পুলিশের ৷
আইপিসি 365 ধারায় (অপহরণ) মামলা রুজু করে পুলিশ । তদন্তে নেমে পুলিশ ওড়িশার তালসারির একটি বেসরকারি হোটেল থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে । এই ঘটনায় মোট 12 জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তিন জনকে বীরভূমের দুবরাজপুর থেকে গ্রেফতার করে 23 সেপ্টেম্বরই আদালতে তোলা হয়েছিল । রবিবার বাকি 9 জনকে বোলপুর মহকুমার বিশেষ আদালতে তোলা হয় । ধৃতদের 14 দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷
আরও পড়ুন: বোলপুর থেকে বিশ্বভারতীর মায়ানমারের ছাত্রকে অপহরণ! তদন্তে পুলিশ
অভিযোগ, ধৃতরা মানুষের চুলের বেআইনি ব্যবসা করতেন । সেই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন বিশ্বভারতীর মায়ানমারের ছাত্রটিও ৷ ধৃতদের কাছ থেকে মোট 60 লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ছাত্রটি ৷ তার মধ্যে 9 লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন তিনি ৷ বাকি 51 লক্ষ টাকার হিসেব বোঝাপড়ার জন্যই এই অপহরণ । এ দেশের ভিসা নিয়ে থাকা মায়ানমারের যুবক কীভাবে বেআইনি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হলেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর সংশোধনাগারে ওই ছাত্রকে নিয়ে গিয়ে অপহরণকারীদের সনাক্তকরণ করানো হবে ৷ তারপরেই শুরু হবে জিজ্ঞাসাবাদ ।