শান্তিনিকেতন, 4 ফেব্রুয়ারি : "একাংশের আশ্রমিক ও রাবীন্দ্রিক স্বার্থান্বেষী", বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্তব্য করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । গতকাল রতনপল্লীর রামকিঙ্কর মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বভারতীর একটি অনুষ্ঠান । সেখানেই উপাচার্য এমন মন্তব্য করেন ৷ মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক । এই অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যশালী "আলাপিনী মহিলা সমিতি" বন্ধ করে দেওয়ার পর "ওমেন এসোসিয়েশন অফ বিশ্বভারতী" নামে এক মহিলা সমিতি গঠন করা হল । যা নিয়েও বিতর্ক তুঙ্গে ।
আরও পড়ুন : বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারিনি, বললেন উপাচার্য
উল্লেখ্য, গতবারের ন্যাকের রিপোর্টে বিশ্বভারতী 'বি' গ্রেড পেয়েছিল ৷ তাতে শিক্ষা মহলে নিন্দার ঝড় বয়ে যায় । চলতি মাসের শেষে ন্যাকের প্রতিনিধি দলের আসার কথা রয়েছে । তার আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্য গঠন করলেন নতুন মহিলা সমিতি "ওমেন এসোসিয়েশন অফ বিশ্বভারতী" । বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা থেকে শুরু করে মহিলা কর্মীরা যার সদস্য হতে পারবেন । যদিও বিশ্বভারতীতে মহিলাদের "আলাপিনী মহিলা সমিতি" ছিল ৷ যা 1916 সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুপ্রেরণায় গঠিত হয় । খুব সম্প্রতি ওই সমিতির ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । যার নিন্দা করে আশ্রমিক ও রবীন্দ্র অনুগামীরা ।
বুধবার বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, "বেশিরভাগ আশ্রমিক ও রাবীন্দ্রিকরা স্বার্থান্বেষী । স্বার্থের জন্য় তাঁরা যে কোনও কিছু করতে রাজি । আর তাঁদের কাছে রবীন্দ্রনাথ একটা সোপান । এটা খুব দুঃখের কথা । আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি । আমি এই কথাগুলো সব জায়গায় বলি । এর জন্য অনেকের কাছেই আমি খারাপ ।"