শান্তিনিকেতন, 3 মার্চ : 60 ঘন্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত । ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত বিশ্বভারতীতে ৷ আন্দোলন চললেও পড়ুয়াদের দাবি, 24 ঘন্টা পরই মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে কর্মসচিব সহ 3 আধিকারিককে ৷ যদিও, 28 ফেব্রুয়ারি থেকে নিজের দফতরেই রয়েছেন তিন আধিকারিক । আন্দোলনের জেরে হেনস্থা হওয়ার আশঙ্কায় দফতর ছেড়ে বেরোচ্ছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল ।
কোভিড পরিস্থিতির পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দোর খুললেও, খোলেনি হস্টেল ৷ ছাত্রাবাস ও ক্যান্টিন খোলার দাবিতে একাধিকবার সরব হয়েছেন পড়ুয়ারা ৷ কারণ দূরের ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশই হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেন । 28 ফেব্রুয়ারি এই দাবিতে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুরু হয় ছাত্র বিক্ষোভ ৷ ঘেরাও করা হয় কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল, ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ ও সম্পত্তি আধিকারিক অশোক মাহাতোকে ৷
24 ঘন্টা পর তিন আধিকারিককে 'ঘেরাও মুক্ত' বলে ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ৷ যদিও, দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা ৷ যদিও দেখা গিয়েছে 60 ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও নিজের দফতরেই রয়েছেন কর্মসচিব সহ তিন আধিকারিক । আর দফতরের বাইরে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ ।
এইমুহূর্তে দফতর ছাড়লে হেনস্থা হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন কর্মসচিব । তাঁর অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও তাঁকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷ আশিস আগরওয়াল বলেন, "বাইরে জমায়েত হয়ে আছে । আমি কী করে ঘেরাও মুক্ত জানি না ৷ পুলিশকে জানিয়েছি । কোনও সাহায্য পাইনি ৷ উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে, উনি সমস্ত বিষয়টি দেখছেন ।"
আরও পড়ুন : Bengal civic polls result 2022: অনুব্রতর গড়ে জেলে বসেই জয়ী রামপুরহাটের সিপিআইএম প্রার্থী
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মধ্যে সোমনাথ সৌ ও মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, "আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে ৷ 150 জন ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে । আমরা আমাদের দাবিতে অনড় ।"