শান্তিনিকেতন, 24 এপ্রিল : সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে উপাসনা গৃহের কাছে দু’দিন ধরে ধর্নায় বিশ্বভারতীর এক ছাত্র । প্রসঙ্গত, আন্দোলনের জেরে 3 জন ছাত্রছাত্রীকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । অভিযোগ, তিন মাস শেষ হওয়ার পর পুনরায় তিন মাসের জন্য তাদের সাসপেন্ড করা হয় । সাসপেনশন প্রত্যাহার না করলে অনশন আন্দোলন করার ডাক দেন ওই পড়ুয়া ও তাঁর সহপাঠীরা ।
9 জানুয়ারি রাস্তা ফেরতের দাবিতে ছাতিমতলায় মৌন অবস্থানে বসেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, কর্মী, আধিকারিকদের একাংশ । সেই সময়ে ছাতিমতলার গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বাম সমর্থক পড়ুয়ারা । ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল ওই দিন । এর জেরে 3 জন ছাত্রছাত্রীকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । অভিযোগ, তিন মাস শেষ হওয়ার পর পুনরায় ওই তিন জন ছাত্রছাত্রীকে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । এতে একটা পুরো শিক্ষাবর্ষে পিছিয়ে পড়ছে ওই ছাত্রছাত্রীরা । কোনও রকম বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হঠাৎ করে কী কারণে তাঁদের পুনরায় তিন মাস সাসপেন্ড করা হল, তারই প্রতিবাদে দু’দিন ধরে বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের কাছে ধর্নায় বসেছেন এক ছাত্র । বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে পোস্টার টাঙিয়ে ধর্নায় বসেন ফাল্গুনী পান নামে ওই ছাত্র । তাঁর সঙ্গে যোগ দেন তাঁর সহপাঠীরা । দু’রাত ধরে গানে গানে চলছে প্রতিবাদ ।
ফাল্গুনী পান বলেন, "তিন মাস সাসপেন্ড করার পর আবার তিন মাস সাসপেন্ড করে দিয়েছে । কী কারণে আবার তিন মাস সাসপেন্ড করা হল, কোনও সদুত্তর দিচ্ছে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । এতে আমার ছাত্র জীবন শেষ হয়ে যাবে । সাসপেনশন প্রত্যাহার না করলে অনশন আন্দোলনের পথে যাব । অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে এই আন্দোলন ।" যদিও, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই মর্মে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ।
আরও পড়ুন : কোরনায় আক্রান্ত বোলপুরের আরএসপি প্রার্থী তপন হোড়