রামপুরহাট, 15 জুন : রামপুরহাট শহরের রাস্তায় কয়েকদিন ধরে দু'টি টোটোকে মাইকিং করতে দেখা যায় ৷ তবে, মাইকিংয়ের কথা শুনলে অবাক হতেই হয় ৷ মাইকের মাধ্যমে জানানো হয়, "আমি না জেনে ও বুঝে কিছু অডিয়ো ক্লিপ বিভিন্ন লোককে দিয়েছিলাম ৷ সেটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য ছিল ৷"
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই দু'টি টোটোর মাধ্যমে রামপুরহাটের দুই বাসন ব্যবসায়ী মাইকিং করছেন ৷ কিন্তু, হঠাৎ কেন এভাবে প্রচার ? জানা গেল, বেশ কিছুদিন আগে রামপুরহাটেরই এক কাপড় ব্যবসায়ীর নামে গুজব ছড়িয়েছিলেন তাঁরা ৷ তার শাস্তি হিসেবে এই মাইকিং করে যেতে হবে 14 দিন ৷ রামপুরহাট পুলিশের তরফে এমন অভিনব শাস্তি দেওয়া হয়েছে ৷ নিজের পকেটের টাকা খরচ করে আলাদা আলাদা টোটো ভাড়া করে মাইক লাগিয়ে ঘুরতে হবে রামপুরহাট শহরে ৷ পাশাপাশি, কোরোনা নিয়ে সতর্কবার্তাও প্রচার করতে হবে ৷
রোজ হোয়াটসঅ্যাপে প্রচুর অডিয়ো ক্লিপ আসে ৷ সেদিনও এমনই একটি অডিয়ো ক্লিপ পেয়েছিলেন আনন্দ আগরওয়াল ৷ অডিয়োটি শুনে থমকে গিয়েছিলেন তিনি ৷ তাতে তাঁর কাপড় দোকান নিয়েই ছড়ানো হয়েছে গুজব ৷ অডিয়োতে বলা হয়, রামপুরহাটের কাপড় ব্যবসায়ী আনন্দ আগরওয়াল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা কোরোনায় আক্রান্ত ৷ তাঁদের কোয়ারানটিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে ৷
রামপুরহাট শহরের মহাজনপট্টি এলাকার বাসিন্দা আনন্দ সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ করা শুরু করেন ৷ জানতে পারেন, ওই অডিয়ো ক্লিপের কথপোকথন এলাকারই দুই বাসন ব্যবসায়ীর ৷ তৎক্ষণাৎ রামপুরহাট থানায় ওই দুই বাসন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আনন্দ ৷ পুরো বিষয়টি জানার পর অভিনব শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ ৷
কাপড় ব্যবসায়ী আনন্দ আগরওয়াল বলেন, "এই গুজব ছড়ানোর পর আমার ব্যবসায় প্রচুর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ৷ লকডাউন শেষে দোকানে খদ্দের আসছে না ৷ আমি তাঁদের নামে রামপুরহাট থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিলাম ৷"