বোলপুর, 5 জুন : লকডাউনে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছে ভরে গিয়েছে বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকা । রাস্তার ধারে পার্থেনিয়াম গাছের জঙ্গল দেখা যাচ্ছে । বিষাক্ত এই গাছ থেকে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিসসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে । শুধু মানুষ নয়, গবাদি পশুর জন্য ক্ষতিকারক এই গাছ । বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনের তরফে এই গাছ নির্মূল করার জন্য অভিযান চালানো হোক ।
এক বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ হল পার্থেনিয়াম । এই গাছটি মূলত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার । এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ় ও উত্তর-পূর্ব মেক্সিকো হল এই উদ্ভিদের আদি উৎপত্তিস্থল । বর্তমানে গোটা দেশ জুড়ে আগাছার মত ছড়িয়ে পড়েছে পার্থেনিয়াম । এই গাছটি পুরোটাই খুব ক্ষতিকারক । বিশেষ করে পার্থেনিয়াম গাছের ফুলের রেণুতে সেস্কুটার্পিন ল্যাকটোন নামক বিষাক্ত পদার্থ থাকে । যা বাতাস বাহিত । এর থেকে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর এমনকি চর্মরোগ পর্যন্ত হয়ে থাকে । শুধু মানুষের জন্য নয়, গবাদি পশুর জন্যও ক্ষতিকারক এই পার্থেনিয়াম । গবাদি পশুর কাছে খুব সুস্বাদু খাদ্য পার্থেনিয়াম । কিন্তু, এই আগাছা খেলে পশুর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায় । এছাড়া, রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে গবাদি পশু । এই লকডাউনে বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছ । রাস্তার ধারে, লোকালয়ে পার্থেনিয়াম গাছের জঙ্গল দেখা যাচ্ছে ।
বিশেষজ্ঞ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনের তরফে পার্থেনিয়াম নির্মূল করার জন্য অভিযান চালানো হোক । পার্থেনিয়াম গাছ কাটার পর ফেলে রাখলেও ক্ষতি হয় । তাই এই গাছ কেটে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হয় । দু'মাসের লকডাউনে বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকার আনাচে-কানাচে ছেয়ে গিয়েছে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছ । এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ তথা বিশ্বভারতীর অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন বলেন, " পার্থেনিয়াম খুবই মারাত্মক ক্ষতিকারক একটি গাছ । মানুষ থেকে গবাদিপশু সকলের জন্যই ক্ষতিকারক । বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকা পার্থেনিয়াম গাছের জন্য উর্বর জায়গা । তাই আমার আর্জি প্রশাসনের তরফে এই গাছ নির্মূল করা হোক । লকডাউনে অত্যাধিক বেড়ে গেছে পার্থেনিয়াম । "