নলহাটি, 5 মার্চ: পারস্পরিক বিবাদের জের ! ব্যস্ততম রাস্তায় ফেলে স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্রের কোপ স্বামীর । ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ঘাতক স্বামীকে ধরে তুলে দিয়েছে পুলিশের হাতে । ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটিতে । অভিযুক্তের নাম মোহিত কুমার বর্মা ৷ ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় যুবতী রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জখম যুবতীর নাম সাকিলা খাতুন । তাঁর বাড়ি বীরভূমের মুরারই থানার বিরোলি গ্রামে (Man stabs his wife on street with sharp weapon) ।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধেয় কলকাতা থেকে ট্রেনে এসে নলহাটি রেল স্টেশনে নামেন সাকিলা খাতুন । তারপর নলহাটি রামমন্দিরের সামনে গাড়ি ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি । সেই সময় তাঁর স্বামী এসে তাঁকে ছুরি মারে বলে অভিযোগ । তাঁর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যায় ৷ তারা স্বামীকে ধরে ফেলেন ৷ পুলিশে খবর দেয় তারা ৷ নলহাটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জখম মহিলাকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় । পরে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসীরা ৷
নলহাটি থানার পুলিশ মহিলার স্বামী মোহিতকুমার বর্মাকে গ্রেফতার করেছে । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হঠাতই চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয় মানুষরা ছুটে যায় । গিয়ে দেখে, যুবতী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন । যুবতীর স্বামী তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করছে । মানুষের ভিড় অভিযুক্ত স্বামীকে ধরে ফেলে । যুবতীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় । পুলিশ এলে অভিযুক্ত স্বামীকে নলহাটি থানায় নিয়ে যায় ।
আহত যুবতী সাকিলা খাতুন বলেন, "বিয়ের পর থেকেই স্বামী আমার উপর অত্যাচার করত । নিয়মিত জুয়া খেলত সে । আমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে গিয়ে দিয়েছি । তাও আমাকে মারধর করত আমার স্বামী। এরপর আমি শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে আসি । ট্রেন থেকে নেমে যাচ্ছিলাম সেসময় আমার স্বামী ছুরি নিয়ে শরীরে আঘাত করে ।"
আরও পড়ুন: আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার 4