রামপুরহাট, 30 জুন : হুল দিবস উপলক্ষে বীরভূমের রামপুরহাট শহরের 17 নম্বর ওয়ার্ডের আদিবাসী পাড়ায় সিধু ও কানুর মূর্তি উন্মোচন করা হল । আজ সাঁওতাল বিদ্রোহের শহিদ সিধু মুর্মু ও কানু মুর্মু এর পূর্ণাঙ্গ মূর্তি উন্মোচন করলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রায় ছয় মাস ধরে জবটুল্লা আদিবাসী অগ্নিফজ মার্শাল ক্লাবের তত্ত্বাবধানে এই মূর্তি দু'টি তৈরি করা হয় ।
তৎকালীন বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী এলাকায় 1885 সালে শুরু হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ । পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বিহারের সাঁওতাল পরগনা, ভাগলপুর জেলায় এই বিদ্রোহ ক্রমাগত শক্তিশালী হয় । ইংরেজ আমলের স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজ কর্মচারীদের অন্যায় অত্যাচারে শিকার হওয়া সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁদের আন্দোলন গড়ে তোলে । এই আন্দোলনের মূল নেতৃত্ব দেয় সিধু, কানু, চাঁদ, ভৈরব প্রমূখ । 1855 খ্রিষ্টাব্দের 30 জুন প্রায় 30 হাজার সাঁওতাল বীরভূমের ভগনাডিহি থেকে সমতল ভূমির উপর দিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন । এটি ভারতের ইতিহাসে প্রথম গণপদযাত্রা । এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কানুকে ফাঁসি দেওয়া হয় আর সিধুকে গুলি করে মেরে ফেলা হয় । তাঁদের স্মরণে আজকের দিনে প্রতিবছরই পালিত হয় হুল দিবস। রামপুরহাট শহরে 17 নম্বর ওয়ার্ডের আদিবাসী পাড়ায় প্রতি বছর হুল উৎসব পালিত হয় । আজ সিধু-কানুর মূর্তি উন্মোচনের পাশাপাশি চিনা হামলায় শহিদ 20 জন জওয়ানের উদ্দেশ্যে স্মরণসভার আয়োজন করা হয় ।
জবটুল্লা আদিবাসী অগ্নিফজ মার্শাল ক্লাবের সম্পাদক উদয় হাঁসদা বলেন, " ছ'মাস ধরে প্রায় 1 লাখ টাকা খরচ করে এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে । প্রতিবছরই আমাদের তরফ থেকে হুল উৎসব উপলক্ষে অনেক রকম অনুষ্ঠান করা । এই বছর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে আমরা কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করিনি। শুধুমাত্র সিধু ও কানুর মূর্তি দু'টি উন্মোচন করা হয়েছে।"
রামপুরহাটে সিধু-কানুর মূর্তি উন্মোচন - birbhum
হুল দিবস উপলক্ষে বীরভূমের রামপুরহাট শহরের 17 নম্বর ওয়ার্ডের আদিবাসী পাড়ায় সিধু ও কানুর মূর্তি উন্মোচন করা হল । রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এই মূর্তি উন্মোচন করেন ।
রামপুরহাট, 30 জুন : হুল দিবস উপলক্ষে বীরভূমের রামপুরহাট শহরের 17 নম্বর ওয়ার্ডের আদিবাসী পাড়ায় সিধু ও কানুর মূর্তি উন্মোচন করা হল । আজ সাঁওতাল বিদ্রোহের শহিদ সিধু মুর্মু ও কানু মুর্মু এর পূর্ণাঙ্গ মূর্তি উন্মোচন করলেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রায় ছয় মাস ধরে জবটুল্লা আদিবাসী অগ্নিফজ মার্শাল ক্লাবের তত্ত্বাবধানে এই মূর্তি দু'টি তৈরি করা হয় ।
তৎকালীন বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী এলাকায় 1885 সালে শুরু হয় সাঁওতাল বিদ্রোহ । পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বিহারের সাঁওতাল পরগনা, ভাগলপুর জেলায় এই বিদ্রোহ ক্রমাগত শক্তিশালী হয় । ইংরেজ আমলের স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজ কর্মচারীদের অন্যায় অত্যাচারে শিকার হওয়া সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাঁদের আন্দোলন গড়ে তোলে । এই আন্দোলনের মূল নেতৃত্ব দেয় সিধু, কানু, চাঁদ, ভৈরব প্রমূখ । 1855 খ্রিষ্টাব্দের 30 জুন প্রায় 30 হাজার সাঁওতাল বীরভূমের ভগনাডিহি থেকে সমতল ভূমির উপর দিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন । এটি ভারতের ইতিহাসে প্রথম গণপদযাত্রা । এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কানুকে ফাঁসি দেওয়া হয় আর সিধুকে গুলি করে মেরে ফেলা হয় । তাঁদের স্মরণে আজকের দিনে প্রতিবছরই পালিত হয় হুল দিবস। রামপুরহাট শহরে 17 নম্বর ওয়ার্ডের আদিবাসী পাড়ায় প্রতি বছর হুল উৎসব পালিত হয় । আজ সিধু-কানুর মূর্তি উন্মোচনের পাশাপাশি চিনা হামলায় শহিদ 20 জন জওয়ানের উদ্দেশ্যে স্মরণসভার আয়োজন করা হয় ।
জবটুল্লা আদিবাসী অগ্নিফজ মার্শাল ক্লাবের সম্পাদক উদয় হাঁসদা বলেন, " ছ'মাস ধরে প্রায় 1 লাখ টাকা খরচ করে এই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে । প্রতিবছরই আমাদের তরফ থেকে হুল উৎসব উপলক্ষে অনেক রকম অনুষ্ঠান করা । এই বছর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে আমরা কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করিনি। শুধুমাত্র সিধু ও কানুর মূর্তি দু'টি উন্মোচন করা হয়েছে।"