বোলপুর, 16 নভেম্বর: ইউনেসকোর স্বীকৃতির পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসা বিতর্কিত ফলকগুলি বদলের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ৷ যেখানে ব্রাত্য ছিলেন স্বয়ং কবিগুরু রবি ঠাকুর ৷ এই মর্মে একটি প্রাথমিক বয়ানও বিশ্বভারতীকে পাঠিয়েছে মন্ত্রক ৷ তাতে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম রয়েছে। তবে মন্ত্রকের পাঠানো বয়ানে কোনও আচার্য বা উপাচার্যের নাম নেই ৷ অর্থাৎ, প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বসানো বিতর্কিত ফলক এবার বদলাতে চলেছে।
17 সেপ্টেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' বা 'বিশ্ব ঐতিহ্যের' তকমা দিয়েছে ইউনেসকো। তারপরেই ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে তিনটি শ্বেত পাথরের ফলক বসিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও ব্রাত্য ছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে সর্বত্র। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ 14 দিন ধরে টানা আন্দোলন করে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী, বিধায়ক-সাংসদরা। সরব হন বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারাও।
বর্তমানে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তাঁকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ৷ জানা গিয়েছে, মন্ত্রকের তরফে বিতর্কিত ফলক বদল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে ফলকে কী লেখা হবে তার একটি বয়ানও বিশ্বভারতীকে পাঠিয়েছে মন্ত্রক ৷ সেই বয়ানে উল্লেখ রয়েছে, "1921 সালে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবধারা ও আদর্শে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী। এই শান্তিনিকেতন উদ্ভাবন ও সম্প্রীতির চেতনাকে লালন করে ৷"তবে মন্ত্রকের বয়ানে নেই আচার্য ও উপাচার্যের নাম।
এছাড়াও নতুন ফলকের জন্য কেন্দ্রের পাঠানো অনুচ্ছেদে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ছোটখাটো বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে। অর্থাৎ, এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বসানো বিতর্কিত ফলক বদল করা হবে। এই নির্দেশ আসতেই খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনে। কারণ, এই ফলক নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে উত্তাল ছিল শান্তিনিকেতন।
আরও পড়ুন: