রামপুরহাট , 28 মে : কোরোনা সংক্রমণ রুখতেই দেশজুড়ে লকডাউন ৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা , মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করা ইত্যাদি বিধিনিষেধ মেনে চলাই কোরোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ৷ কারণ দেশে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে ৷ রাজ্যেও চিত্রটা একই ৷ কিন্তু সেসব ভুলে বাঙালি যেন আজ মেতে উঠেছে জামাই আদরে । তেমনই দেখা যাচ্ছে রামপুরহাটের ষষ্ঠীতলাগুলিতে ৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই ষষ্ঠীতলাগুলিতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ ৷ তবে ষষ্ঠীতলাগুলিতে ষষ্ঠী গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে কোরোনা সচেতনতা বোর্ড ৷ সেখানে মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে ৷ কিন্তু তা মানছে কে ? ঠাকুরমশাই মাস্ক পরলেও , ষষ্ঠী তলায় আগত মহিলাদের মধ্যে দেখা গেল সচেতনতার অভাব ।
রামপুরহাটে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ৷ আজ রামপুরহাট মহকুমায় নতুন করে 23 জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৷ গতকাল রামপুরহাট শহরে একজন যুবকের মধ্যে কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে । তাই পৌরসভার তরফে সকাল থেকেই ষষ্ঠীতলাগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজো করার জন্য বারবার মাইকিং করা হচ্ছে । কিন্তু সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা , একে অপরের ঘাড়ে হুমড়ি খেয়ে ঠাকুর মশাইয়ের কাছে পুজোটা তাড়াতাড়ি করে দেওয়ার আবেদন রাখছেন শাশুড়িরা ৷
পুজো দিতে এসে এক মহিলার বক্তব্য " শুনেছি রামপুরহাটে অনেক কোরোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে । সকালবেলায় পাশের গ্রাম থেকেই জামাই এসেছে বাড়িতে । নতুন জামাই কীভাবে অসম্মান করতে পারি । তাই সকাল সকাল পুজো দিয়েই বাড়ি ফিরতে চাই ৷"
রামপুরহাট পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক তথা বিদায়ী চেয়ারম্যান অশ্বিনী তিওয়ারি বলেন " পৌরসভার তরফ থেকে যথাসম্ভব মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে । প্রতিটি ষষ্ঠীতলায় ব্লিচিং দেওয়া হচ্ছে ৷ স্যানিটাইজ় করা হয়েছে ৷ কিন্তু যেভাবে কোরোনা সংক্রমণ বাড়ছে , তাতে প্রত্যেকটা মানুষের বোঝা উচিত যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই ।"