ETV Bharat / state

নম্বর প্লেটহীন লরিতে ইলামবাজার থেকে চলছে গোরু পাচার - Cow smuggling

বীরভূমের ইলামবাজারে দক্ষিণবঙ্গের সব থেকে বড় গোরুরহাট রয়েছে । এখান থেকেই নম্বর প্লেটহীন লরিতে বাংলাদেশে চলছে গোরু পাচার ।

গোরু পাচার
author img

By

Published : Nov 23, 2019, 11:48 PM IST

ইলামবাজার, 23 নভেম্বর : নম্বর প্লেটহীন লরি করে ইলামবাজার জঙ্গল থেকে চলছে গোরু পাচার । জঙ্গলের মাঝে সারি সারি বাঁধা থাকছে গোরুগুলি । পাচারকারীরা সেখানে পাহারায় থাকে । কাউকে সেখানে গিয়ে ছবি তুলতে দেওয়া হয় না । সেখান থেকে জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে চলে গোরু পাচার ।

বীরভূমের ইলামবাজারে দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে বড় গোরুরহাট রয়েছে । প্রতি শনিবার বসে এটি । ইলামবাজার থেকে দু'টি পথে গোরু অন্যত্র পাচার হয় । ম্যাটাডর, ট্রাক, লরিতে জয়দেব ফেরিঘাট হয়ে অজয় নদ পাড় হয়ে গোরু চলে যায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় । অন্যদিকে, ইলামবাজার জঙ্গলের ভিতর দিয়ে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে পাচার হয় গোরু । জঙ্গলের মাঝে ফাঁকা জায়গায় সারি সারি বড় লরি, ট্রাক দাঁড় করিয়ে চলে গোরু বোঝাইয়ের কাজ । সেগুলিতে কোনও নম্বর প্লেট থাকে না । সেই গাড়িগুলি করেই চোরা পথে চলে গোরুর কারবার ৷ কাউকে ছবি তুলতে দেওয়া হয় না ।

এর আগে পুলিশ টাকা নিয়ে গোরু পাচারে মদত দিচ্ছিল, সেই ছবি ধরা পড়েছিল ETV ভারতের ক্যামেরায় । প্রসঙ্গত, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরেই গোরু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগ সূত্র মিলেছিল জামাত- উল- মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB)- র । এই জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) আধিকারিকরা এই গোরুরহাটে হানাও দিয়েছিল । এখনও গোয়েন্দারা গোরু পাচারকারীদের উপর নজর রাখছে ।

তবে তারপরেও ইলামবাজারের এই গোরুরহাট থেকে চলছে গোরু পাচার । বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী গাড়ি করে গোরু নিয়ে যাওয়া বেআইনি । কিন্তু সেই আইনকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এই হাট থেকে বড় বড় লরিতে চলছে গোরু পাচার । বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংকে এই বিষয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না ।"

ইলামবাজার, 23 নভেম্বর : নম্বর প্লেটহীন লরি করে ইলামবাজার জঙ্গল থেকে চলছে গোরু পাচার । জঙ্গলের মাঝে সারি সারি বাঁধা থাকছে গোরুগুলি । পাচারকারীরা সেখানে পাহারায় থাকে । কাউকে সেখানে গিয়ে ছবি তুলতে দেওয়া হয় না । সেখান থেকে জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে চলে গোরু পাচার ।

বীরভূমের ইলামবাজারে দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে বড় গোরুরহাট রয়েছে । প্রতি শনিবার বসে এটি । ইলামবাজার থেকে দু'টি পথে গোরু অন্যত্র পাচার হয় । ম্যাটাডর, ট্রাক, লরিতে জয়দেব ফেরিঘাট হয়ে অজয় নদ পাড় হয়ে গোরু চলে যায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় । অন্যদিকে, ইলামবাজার জঙ্গলের ভিতর দিয়ে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে পাচার হয় গোরু । জঙ্গলের মাঝে ফাঁকা জায়গায় সারি সারি বড় লরি, ট্রাক দাঁড় করিয়ে চলে গোরু বোঝাইয়ের কাজ । সেগুলিতে কোনও নম্বর প্লেট থাকে না । সেই গাড়িগুলি করেই চোরা পথে চলে গোরুর কারবার ৷ কাউকে ছবি তুলতে দেওয়া হয় না ।

এর আগে পুলিশ টাকা নিয়ে গোরু পাচারে মদত দিচ্ছিল, সেই ছবি ধরা পড়েছিল ETV ভারতের ক্যামেরায় । প্রসঙ্গত, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরেই গোরু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগ সূত্র মিলেছিল জামাত- উল- মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB)- র । এই জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) আধিকারিকরা এই গোরুরহাটে হানাও দিয়েছিল । এখনও গোয়েন্দারা গোরু পাচারকারীদের উপর নজর রাখছে ।

তবে তারপরেও ইলামবাজারের এই গোরুরহাট থেকে চলছে গোরু পাচার । বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী গাড়ি করে গোরু নিয়ে যাওয়া বেআইনি । কিন্তু সেই আইনকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এই হাট থেকে বড় বড় লরিতে চলছে গোরু পাচার । বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংকে এই বিষয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না ।"

Intro:ইলামবাজার, ২৩ নভেম্বরঃ নম্বর প্লেট হীন বড় বড় লরি করে ইলামবাজার জঙ্গল থেকে চলছে গোরু পাচার। জঙ্গলের মাঝে সারি সারি গোরু বাঁধা। এই অঞ্চলে কাউকে ছবি তুলতে দেওয়া হয়না। তারজন্য চলে নজরদারিও। জঙ্গল পথে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে রমরমিয়ে চলছে গোরু পাচার।Body:ইলামবাজার, ২৩ নভেম্বরঃ নম্বর প্লেট হীন বড় বড় লরি করে ইলামবাজার জঙ্গল থেকে চলছে গোরু পাচার। জঙ্গলের মাঝে সারি সারি গোরু বাঁধা। এই অঞ্চলে কাউকে ছবি তুলতে দেওয়া হয়না। তারজন্য চলে নজরদারিও। জঙ্গল পথে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে রমরমিয়ে চলছে গোরু পাচার।

বীরভূমের ইলামবাজার গোরুরহাট হল দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সব থেকে বড় গোরুরহাট। প্রতি শনিবার বসে এই হাট। ইলামবাজার থেকে দুটি পথে গোরু অন্যত্র পাচার হয়ে থাকে। ছোট মেটাডোর, ট্রাক, লরি, বড় লরি প্রভৃতিতে জয়দেব ফেরিঘাট হয়ে অজয় নদ পাড় হয়ে গোরু চলে যায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। অন্যদিকে, ইলামবাজার জঙ্গলের ভিতরে পথ হয়ে মুর্শিদাবাদ, সেখান থেকে বাংলাদেশেও পাচার হয় গোরু। জঙ্গলের মাঝে একটি ফাঁকা জায়গায় সারি সারি বড় লরি, ট্রাক দাঁড় করিয়ে চলে গোরু বোঝাইয়ের কাজ। একটিও লরি, ট্রাকে দেখা মিলল না নম্বর প্লেটের। নম্বর প্লেট হীন এই গাড়ি গুলি করেই চোরা পথে চলে গোরুর কারবার৷ এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কাউকে ছবি তুলতে দেওয়া হয় না। তারজন্য রীতিমতো চলে নজরদারি।
এর আগেও পুলিশ টাকা নিয়ে গোরু পাচারে মদত দিচ্ছিল, সেই ছবি ধরা পড়েছিল ETV ভারতের ক্যামেরায়।
প্রসঙ্গত, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে পরেই গোরু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগ সূত্র মিলেছিল জামাত উল মুজাইদিন বাংলাদেশের (যে এম বি)। এই জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এন আই এ) অফিসারেরা এই গোরুরহাটে হানাও দিয়েছিল। এখনও গোয়েন্দারা গোরু কারবারিদের উপর নজর রাখেন।
এরপরেও ইলামবাজারের এই গোরুরহাট থেকে রমরমিয়ে চলছে নম্বর প্লেটহীন ট্রাক, লরি করে বেআইনি ভাবে গোরু পাচার। পুলিশের দেখা নেই এতদ অঞ্চলে।
বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী গাড়ি করে গোরু নিয়ে যাওয়াই সম্পূর্ণ বেআইনি। আইনকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এই হাট থেকে বড় বড় লরি, ট্রাকে করে চলে গোরু পাচার। Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.