ইলামবাজার, 23 নভেম্বর : নম্বর প্লেটহীন লরি করে ইলামবাজার জঙ্গল থেকে চলছে গোরু পাচার । জঙ্গলের মাঝে সারি সারি বাঁধা থাকছে গোরুগুলি । পাচারকারীরা সেখানে পাহারায় থাকে । কাউকে সেখানে গিয়ে ছবি তুলতে দেওয়া হয় না । সেখান থেকে জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে চলে গোরু পাচার ।
বীরভূমের ইলামবাজারে দক্ষিণবঙ্গের সবথেকে বড় গোরুরহাট রয়েছে । প্রতি শনিবার বসে এটি । ইলামবাজার থেকে দু'টি পথে গোরু অন্যত্র পাচার হয় । ম্যাটাডর, ট্রাক, লরিতে জয়দেব ফেরিঘাট হয়ে অজয় নদ পাড় হয়ে গোরু চলে যায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় । অন্যদিকে, ইলামবাজার জঙ্গলের ভিতর দিয়ে মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে পাচার হয় গোরু । জঙ্গলের মাঝে ফাঁকা জায়গায় সারি সারি বড় লরি, ট্রাক দাঁড় করিয়ে চলে গোরু বোঝাইয়ের কাজ । সেগুলিতে কোনও নম্বর প্লেট থাকে না । সেই গাড়িগুলি করেই চোরা পথে চলে গোরুর কারবার ৷ কাউকে ছবি তুলতে দেওয়া হয় না ।
এর আগে পুলিশ টাকা নিয়ে গোরু পাচারে মদত দিচ্ছিল, সেই ছবি ধরা পড়েছিল ETV ভারতের ক্যামেরায় । প্রসঙ্গত, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরেই গোরু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগ সূত্র মিলেছিল জামাত- উল- মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB)- র । এই জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) আধিকারিকরা এই গোরুরহাটে হানাও দিয়েছিল । এখনও গোয়েন্দারা গোরু পাচারকারীদের উপর নজর রাখছে ।
তবে তারপরেও ইলামবাজারের এই গোরুরহাট থেকে চলছে গোরু পাচার । বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী গাড়ি করে গোরু নিয়ে যাওয়া বেআইনি । কিন্তু সেই আইনকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এই হাট থেকে বড় বড় লরিতে চলছে গোরু পাচার । বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংকে এই বিষয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না ।"