ইলামবাজার, 12 সেপ্টেম্বর: মুক্তিপণ চেয়ে ইলামবাজারের জঙ্গলে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র খুনে সোমবার ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করল সিআইডির ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা(State Forensic Science Laboratory)৷ অন্যদিকে, ঘটনায় ধৃতকে শেখ সালমানকে বোলপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে আসা হয় । বাগুইআটির জোড়া ছাত্র খুনের ছায়ার আভাস পেয়েই এই ঘটনার তদন্তে নামে খোদ রাজ্য পুলিশের আইজি ও জেলা পুলিশ সুপার ।
বীরভূমের খয়রাশোল থানার আহমদপুরের বাসিন্দা সৈয়দ আবদুল মতিন একজন পাথর ব্যবসায়ী । ব্যবসার কারণে পরিবার নিয়ে তিনি মল্লারপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন ৷ তাঁর ছেলে সৈয়দ সালাউদ্দিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ৷ ইলামবাজারের চৌপাহারি জঙ্গলে রবিবার এই ছাত্রের গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়(Ilambazar Student Murder)৷ কিছুটা দূরে একটা বাইকও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন : ছাত্রের গলা কাটা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য, অপহরণের পর ‘খুন’
পরিবারের অভিযোগ, ফোন করে 30 লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার পরেই এই খুন । সদ্য বাগুইআটির ঘটনার পর খবর পেতেই তড়িঘড়ি তদন্তে নামেন খোদ রাজ্য পুলিশের আইজি সঞ্জয় সিং, বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় ও সুরজিৎ দে । মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে গ্রেফতার করা হয় নিহত ছাত্রের বন্ধু শেখ সালমানকে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে ধৃত যুবক । সোমবার তাকে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় ।
আরও পড়ুন : বাগুইআটির অপহৃত দুই ছাত্রের দেহ মিলল বসিরহাটের মর্গে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন