রামপুরহাট, 27 মার্চ: বগটুই কাণ্ডে আহতদের সঙ্গে কথা বলতে রামপুরহাট হাসপাতালে গেলেন সিবিআইয়ের একটি দল (CBI at Rampurhat Medical College Hospital)। রামপুরহাট বগটুইয়ে অগ্নিদগ্ধ একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সাতটি মৃতদেহ। আহত হন বেশ কয়েকজন। হাসপাতালে মারা যান আরও একজন ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে সিটের কাছ থেকে দায়িত্বভার নেওয়ার পর গতকাল থেকে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। রামপুরহাট মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে চারজন ভর্তি আছেন। তাঁদের নাম নাজিমা বিবি (40), আতাহারা বিবি (50), বুলবুলি খাতুন (20), ইরফান শেখ (11)।
আহতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রবিবার হাসপাতালে যান সিবিআইয়ের একটি দল। সেখানে তিনজনের বয়ানও রেকর্ড করা হয় ৷ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি পলাশ দাশ বলেন, "আমি বাইরে ছিলাম ৷ সিবিআইয়ের আধিকারিকরা ভিতরে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ৷" সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিং জানান, আমরা আমাদের কাজ করছি, সহযোগিতায় কোনও অসঙ্গতি দেখতে পাচ্ছি না । সবাই সহযোগিতা করছে ৷"
অন্য়দিকে এদিন দুপুর 1 টা নাগাদ বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে রামপুরহাট থানা থেকে সিবিআইয়ের অস্থায়ী দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, ধৃত এই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।
আরও পড়ুন : Rampurhat Bagtui Massacre : বগটুই তদন্তে সিবিআইয়ের হাতিয়ার থ্রিডি স্ক্যান প্রযুক্তি
প্রসঙ্গত, গত 21 মার্চ রামপুরহাট 1 নম্বর ব্লকের বড়শাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। এই ঘটনার পরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বীরভূমে রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। উপপ্রধানের মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ওইদিন অর্থাৎ সোমবার রাত থেকেই ভাদু শেখের অনুগামীরা গ্রামে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ ৷ ওইদিন রাতে 10-12টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ আটজন পুড়ে মারা যান ৷ ঘটনার তদন্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিট গঠন করেন ৷ 24 মার্চ বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ তিনি নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেন ৷ পাশাপাশি সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতিও দেন ৷ এরপর মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন ৷ এরপরই গ্রেফতার হয় আনারুল ৷ গত 25 মার্চ রামপুরহাট বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তদন্তের ভার সিববিআইয়ের কাছে যাওয়ার পরই রবিবার বগটুইয়ের ঘটনায় যাঁরা অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে রামপুরহাট হাসপাতালে কথা বলে সিবিআই ৷ এর পাশাপাশি তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করা হয় ৷