রামপুরহাট, 31 মার্চ : বগটুই হত্যাকাণ্ডে এবার আনারুল হোসেনের ফোন স্ক্যান করছে সিবিআই (Rampurhat Massacre)। পাশাপাশি রামপুরহাট থানা, বগটুই মোড় এবং রামপুরহাট হাসপাতালের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। একাধিক পুলিশকর্মী, দমকলকর্মীকে চলে জিজ্ঞাসাবাদ ৷ আনারুলের ফোন স্ক্যান করেই প্রকাশ্যে আসবে বগটুইকাণ্ডের আসল রহস্য বলে মনে করছে সিবিআই।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে 9 জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় উঠে আসছে অনেক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নাম-সহ পুলিশ আধিকারিকের নাম। তদন্তভার হাতে পেয়েই ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুল-সহ সাসপেন্ড হওয়া এসডিপিও সায়ন আহমেদ ও আইসি ত্রিদীপ প্রামাণিককে জেরা করেছেন সিবিআই অফিসাররা। এবার ওই দিনের ঘটনা জানতে রামপুরহাট-1 নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের ফোন স্ক্যান করছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে আনারুলকে পদে রেখেছিলাম, বিস্ফোরক অনুব্রত
জানা গিয়েছে, এই ফোন স্ক্যান করেই মিলবে বগটুইয়ে ওই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, কার নির্দেশে ঘটেছিল, কেন রাতে পুলিশ নীরব ছিল, কার নির্দেশে গ্রামে যায়নি পুলিশ, আনারুলের কাছে কোনও প্রভাবশালী নেতার ফোন এসেছিল কি না প্রভৃতি তথ্য। এর পাশাপাশি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ, রামপুরহাট থানা এবং বগটুই মোড়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে সিবিআই। তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর যারা হাসপাতালে গিয়েছিল তারাই কী বগটুইয়ে গিয়েছিল ওই রাতে? সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা জানা যাবে ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একাধিক পুলিশকর্মী ও দমকলকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই অফিসাররা।