বোলপুর, 16 সেপ্টেম্বর: আবারও অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়িতে সিবিআই (CBI) অভিযান ! সূত্রের খবর, গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করার পর এবার তাদের লক্ষ্য অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal) ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে হঠাৎই অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমের বসত বাড়িতে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (Central Bureau of Investigation) প্রতিনিধিরা ৷ সেই দলে এক মহিলা আধিকারিকও ছিলেন ৷ সুকন্য়া মণ্ডলকে তাঁর বাড়িতেই প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা ৷
গরুপাচারের তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্য়া মণ্ডলের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই ৷ যার মধ্যে অন্যতম ভোলেবোম রাইস মিল ৷ এছাড়াও, সুকন্য়ার নামে একটি 17 কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের হদিশ মিলেছে ৷ সেইসঙ্গে রয়েছে পুকুর, জমি-সহ অসংখ্য সম্পত্তি ৷ সূত্রের দাবি, এদিন সুকন্য়ার সঙ্গে এইসব সম্পত্তির হাল হকিকত নিয়েই কথা বলেন সিবিআই গোয়েন্দারা ৷ তাঁরা জানতে চান, অনুব্রত যে মেয়ের নামে এত সম্পত্তি কিনছেন, তা কি জানতেন তাঁর মেয়ে ? তিনি কখনও যেতেন রেজিস্ট্রি অফিসে ? নাকি বাবা যখন যেখানে বলতেন, শুধু স্বাক্ষর করে দিতেন ! সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে, একজন শিক্ষিত মানুষ এবং যিনি কিনা পেশায় শিক্ষিকা, তাঁর পক্ষে এমন আচরণ কি আদৌ সম্ভব ?
আরও পড়ুন: গরুপাচার কাণ্ডে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির যোগ মিলল সিআইডি তদন্তে
আর যদি সবকিছু জেনেশুনেই সুকন্যা তাঁর নামে কেনা সম্পত্তির দলিলে সই করে থাকেন, তাহলে প্রশ্ন ওঠে, তিনি কি জানতেন এইসব সম্পত্তি কেনার টাকা কোথা দিয়ে আসছে ? তিনি কি কখনও সেই বিষয় তাঁর বাবাকে প্রশ্ন করেছিলেন ? নাকি তার কোনও প্রয়োজনই ছিল না ৷ কারণ, টাকার উৎস তাঁর আগে থেকেই জানা ছিল ! এই টাকার সঙ্গে কি কোনওভাবে গরুপাচারের সম্পর্ক রয়েছে ? সূত্রের দাবি, এমনই অসংখ্য প্রশ্ন করা হয় সুকন্যাকে ৷ এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই ৷ সুকন্য়ার সঙ্গে কথা বলে সেখান থেকে তারা বের হয় দুপুর একটার একটু পরে ৷ অর্থাৎ, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব ৷
উল্লেখ্য, এর আগেও গত 17 অগস্ট সুকন্যার সঙ্গে কথা বলতে তাঁদের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ৷ কিন্তু, সেই সময় সুকন্য়া তাঁদের জানান, সদ্য মাকে হারিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি ! অতএব সিবিআই-এর সঙ্গে কথা বলা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় ! সেদিন তাই সুকন্য়ার সঙ্গে কথা না বলেই ফিরতে হয়েছিল গোয়েন্দাদের ৷