রামপুরহাট, 3 এপ্রিল : বগটুই কাণ্ডে নয়া মোড় (Rampurhat Massacre) ৷ ঘটনার দুই প্রতক্ষ্যদর্শী মিহিলাল শেখ ও শেখলাল শেখ সিবিআইকে জানিয়েছিল, 21 মার্চ রাতে তিনটি টোটো ও একটি বাইকে করে রামপুরহাট পেট্রল পাম্প থেকে জ্যারিকেন ভরতি করে দাহ্য পদার্থ আনা হয়েছিল । এই অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত রানা শেখ ও মিলন শেখের টোটোর হ্যান্ডেল, স্টিয়ারিংয়ে হাতের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআইয়ের ফরেন্সিক টিম ।
কুমাড্ডা গ্রামে মনতারা বিবির বাড়িতে রাখা ছিল টোটোটি ৷ মনতারা বিবি বলেন, ‘‘ঘটনার পরদিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার 11টা নাগাদ রানার মা টোটো দুটি রেখে যায় । বলে যায় গ্রামে খুব ঝামেলা চলছে । কী হবে বোঝা যাচ্ছে না । তাই রেখে গেলাম । রানা ওর টোটোতে যাত্রী বহন করত । ওর বাবা মিলন শেখ ফল নিয়ে যাওয়া-আসা করত ।’’ তবে, বাইকটি কারা, কখন রেখে গিয়েছে তা জানেন না মনতারা বিবি ।
আরও পড়ুন : ‘সিবিআই যা করছে ঠিক করছে’, বগটুই কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে খুশি অনুব্রত
তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু পেট্রলের জ্যারিকেন উদ্ধার করে সিবিআই । সেই দাহ্য পদার্থ রানা শেখের টোটোতে লেগে আছে কি না তা খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহকারী দল । জ্যারিকেনের হাতের ছাপের সঙ্গেও টোটোতে থাকা ছাপ মিলিয়ে দেকা হচ্ছে । তবে বাইকটি রাখা থাকলেও তার মালিকের সন্ধান এখনও মেলেনি । অন্যদিকে, বগটুই কাণ্ডে সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকা আনারুল হোসেন-সহ 15 জনকে এদিন পান্থশ্রী অস্থায়ী আবাসনে আনা হয়েছে ।